ডিজিটাল প্রযুক্তি কি? ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার
ডিজিটাল প্রযুক্তি কি? ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার। বর্তমান সময়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্রযুক্তি লক্ষ্য করা যায়। মানুষের জীবন যাত্রার মান সহজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করছে প্রতিনিয়ত। দিনের দিন মানুষ ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
আমাদের আজকের পোস্টে আপনাদের জানাবো ডিজিটাল প্রযুক্তি কি, ডিজিটাল প্রযুক্তির
মাধ্যমে আমরা কি কি সুবিধা- অসুবিধা পাচ্ছি এবং কিভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি
আমাদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করছে সেই সম্পর্কে আজ আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।
বিস্তারিত জানতে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পেজ সূচিপত্র ঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি কি? ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার
- ডিজিটাল প্রযুক্তি কি
- ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার
- যোগাযোগ ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি
- শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- স্বাস্থ্য সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- কৃষি ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- যাতায়াত ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- ইনফরমেশন টেকনোলজি ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সুবিধা
- ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা
- শেষ কথা ঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি কি? ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার
ডিজিটাল প্রযুক্তি কি
ডিজিটাল প্রযুক্তি কি ডিজিটাল প্রযুক্তি হল এমন কিছু
ইলেকট্রনিক্স টুলস, ডিভাইস বা সিস্টেম যা মূলত ০ ও ১ এর মাধ্যমে তৈরি
করা হয়। যেগুলো ডাটা প্রসেস বা স্টোর করার সময় ব্যবহার করে এবং অন্যান্য ফাংশন
সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের
দৈনন্দিন জীবন যাত্রার মান সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে। দিন দিন ডিজিটাল
প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো তথ্যপ্রযুক্তি বা কম্পিউটারের
মাধ্যমে ডাটা এবং তথ্যকে প্রসেস করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। বর্তমানে বেশিরভাগ
ব্যবসায়ী কোম্পানির মালিক তাদের ব্যবস্থা কোম্পানির উন্নতির জন্য ডিজিটাল
প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকেন।
আরো পড়ুন ঃ ঝাপসা ছবি স্পষ্ট করার ৮ টি উপায়
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় -আমরা একটি স্মার্টফোন দিয়ে দৈনন্দিন জীবনে কত রকম
সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছি। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট সেবা ইত্যাদি আরো অনেক
সুবিধা যেগুলো দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ঠিক এভাবেই দিন দিন
ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবন যাত্রার মানকে উন্নত ও পরিবর্তন করে দিয়েছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার
ডিজিটাল প্রযুক্তি আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে থাকি তার মধ্যে বিশেষ ১০টি ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে আপনাদের আজ জানাবো। আপনি যে আজকের আর্টিকেলটি পড়ছেন এটাও একটি ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পড়ছেন। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল প্রযুক্তি বলতে কি বুঝাতে চাইছি। আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন তবে অবশ্যই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়বেন।
যোগাযোগ ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি
যোগাযোগের ক্ষেত্রে বর্তমানে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কেননা আজকাল মানুষ যোগাযোগের মাধ্যমে একে অপরের খোঁজখবর নিয়ে থাকে। শুধু তাই নয় ভিডিও কনফারেন্স, অনলাইন বিজনেস, অনলাইন ক্লাস ইত্যাদি আরো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন পড়ে। এই ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা অনেক সময় বাঁচাতে পারি, এমনকি তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও খুবই উপকারী একটি মাধ্যম।
আবার আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খোঁজখবর রাখতে পারি, এবং
দেশ-বিদেশে যোগাযোগ রাখতে পারি খুব সহজেই। বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই
প্রবাসী। যারা প্রবাসে থাকে তাদের সাথে যোগাযোগের ভালো একটা মাধ্যম হলো ডিজিটাল
প্রযুক্তি।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার একটা অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের কোর্স করতে পারে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে যে কোন দেশের শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয় যেসব ছেলেগুলো পড়ালেখা শেষ করে কোন চাকরি না পেয়ে বসে আছে তারা আজকাল অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে থাকে।
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা অনেক অজানা জিনিস ইউটিউবে সার্চ দিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল
দেখে শিখতে পারছে। অনেক সময় এমন আছে বলে দেয়ার মত কেউ নাই কোন একটা প্রশ্ন যেটা
সমাধান করা তাৎক্ষণিক সম্ভব নয়, এমন প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর বের করার জন্য
শিক্ষার্থীরা হয় গুগলের সার্চ দেই না হয় ইউটিউবে। এটা শুধু সম্ভব হয়েছে
ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক
উন্নতি করছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি বড় একটা
পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা
গুলোর অগ্রগতি দিনের দিন বেড়েই চলেছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাস্টমারদের
ভালো সার্ভিস প্রদান করা যাচ্ছে।
যেমন উদাহরণ স্বরূপ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আজকাল মানুষ অনলাইনে তাদের
প্রোডাক্ট এর প্রচারণা করতে পারছে। ব্যবসা ক্ষেত্রে এটি একটি বড় অবদান
ডিজিটাল প্রযুক্তির। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই মানুষ এক জেলা থেকে
আরেক জেলার জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারছে।
স্বাস্থ্য সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবাও দিতে পারছে। মেডিসিন থেকে
শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন এর ক্ষেত্রেও ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন রোগী হয়রানি থেকেও বাঁচতে পারছে।
ডাক্তার উপস্থিত হতে না পারলেও অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও কলে ও রোগীর সেবা দিতে
পারছে এই ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে। এছাড়াও রোগীদের বিভিন্ন ধরনের সেবার
ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
কৃষি ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমানে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম। উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাচীনকালের তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে যা ডিজিটাল প্রযুক্তির একটি মাধ্যম।
বর্তমানের কৃষকরা আর মূর্খ নয়, তাদের হাতেও এখন স্মার্টফোন। যার মাধ্যমে খুব
সহজে তারা ক্ষেতের ফসল কেনাবেচা করতে পারছে। কৃষকদের জন্য এটা অনেক লাভজনক। এমনকি
কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের এনালাইসিস এর ক্ষেত্রেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার
করা হচ্ছে।
ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমানে প্রায় সব ধরনের ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্যাংকিং সিস্টেমকে আরো বেশি সহজে এবং উন্নত করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবাও চালু করেছে। যা খুব সহজে মানুষ হাতের মুঠোয় পেয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আজকাল মানুষ টাকা উঠাতে পারছে ইচ্ছামত, আবার টাকা পাঠাতেও পাচ্ছে যে কোন দেশে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে লেনদেন অনেক সহজ ও নিরাপদ হয়েছে। মানুষকে এখন
আর টাকা উঠানোর জন্য ব্যাংকে গিয়ে লাইন ধরতে হয় না। ইচ্ছা করলে মোবাইল অ্যাপস
থেকে টাকা উঠিয়ে নিতে পারছে। এইসব সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তির
মাধ্যমে।
যাতায়াত ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমানে যাতায়াত করার জন্য অনেক ধরনের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন ঘরে থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে বাসের টিকিট, ট্রেনের টিকিট ইত্যাদি আগে থেকেই বুক করা যাচ্ছে। যার ফলে আপনাকে হয়রানি হতে হচ্ছে না।
বর্তমানে জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে বিশ্বের যে কোন স্থানে খুব সহজেই
যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও আমরা রাস্তায় ট্রাফিক দেখি সেগুলো নিয়ন্ত্রণ
এর ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর আগাম সংকেত পেতে ডিজিটাল প্রযুক্তি বেশ ভালোভাবে কাজ করছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষজনকে আগে থেকে সতর্ক করা যাচ্ছে ফলে, মানুষের জীবন ও জান মালের রক্ষা করতে পারছে শুধুমাত্র এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ডিজিটাল প্রযুক্তিকে শক্তি বা জ্বালানি কে রিনিউ করার কাজে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের শব্দ দূষণ সম্পর্কে ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে মনিটরিং করা যায়। পরিবেশ রক্ষায় অনেক বেশি কম সময়ের মধ্যে সব কিছুই করা যায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে।
ইনফরমেশন টেকনোলজি ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
ইনফরমেশন টেকনোলজি হল একটি বিশাল প্রফেশনাল ক্যাটাগরি। যার মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ
নেটওয়ার্ক তথ্যের সুরক্ষা এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানের
মাধ্যম। ডিজিটাল প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হলো ইনফরমেশন টেকনোলজি।
আরো পড়ুন ঃ অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করার ১০টি উপায়
উদাহরণস্বরূপ- বর্তমানে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ
করে থাকি, যা একমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। ঘরে বসে
দেশ-বিদেশের খবর আমরা জানতে শুনতে পাচ্ছি।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ডাটা
স্টোরেজ সাবস্ক্রাইব তৈরি করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি যে কোন সময় যে কোন জায়গা
থেকে ডাটা এক্সপ্রেস পাওয়া যায় বলে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।
তাছাড়া এটি কম্পিউটারে স্পেস বাঁচানোর পাশাপাশি আপনার খরচ কমাবে। সহজে আপগ্রেড
করা যায় বলে ক্লাউড কম্পিউটিং বর্তমানে ব্যাপক প্রচলিত।
ক্লাউড -কমম্পিউটিং এ আপনি যতটুকু রিসোর্স ব্যবহার করবেন শুধু তার খরচ দিতে হবে।যেমন আপনাকে দামি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কিনতে হবে না তেমনি অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ক্লাউড কম্পিউটিং যা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ডাটা সেন্টারে হাজার হাজার সার্ভারের সাথে সংযুক্ত। আপনি ঘরে বসে ভার্চুয়াল ভাবে লেটেস্ট হার্ডওয়ারের কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন যার কোন কিছুতেই আপনাকে ফিজিক্যাল খরচ করতে হবে না। এসব শুধু ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সুবিধা
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা যে সকল সুবিধা পাচ্ছি সেগুলো আজ আপনাদের সাথে
শেয়ার করবো। চলুন তাহলে জেনে নিই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা কি কি
সুযোগ-সুবিধা গুলো পাচ্ছি সেই সম্পর্কে।
- ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক বড় পরিবর্তন করতে পেরেছি। যে কোন মুহূর্তে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে বিশ্বের যে কোন স্থানে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র এই ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে।
- নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে। ঘরে বসে রিমোট জব করতে পারছে বিশ্বের যেকোনো দেশে।
- শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। অনলাইন ক্লাস থেকে শুরু করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
- বিনোদনের স্থান অনলাইনে হওয়ায় মানুষ যে কোন স্থানে বসে বিভিন্ন ধরনের মুভি নাটক টিকটক কন্টেন দেখতে পাচ্ছে। এটা শুধুমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে।
- ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করে যে কোন সময় আপনি যে কোন তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন। অজানা তথ্যের জন্য বই খোঁজার দরকার নেই আপনার হাতে যদি একটি মোবাইল ফোন থাকে তাহলে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সঠিক তথ্যটি খুঁজে পাবেন খুব সহজেই এবং কম সময়ের মধ্যে।
- বর্তমানে স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে বাড়িতে স্মার্ট হোম হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ ও চালু করার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে।
- ইন্টারনেটে প্রচুর পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায় এবং যেকোনো সময় যে কোন তথ্য মানুষের সাথে শেয়ার করা যায়।
- পরিবেশের ভারসাম্য পর্যবেক্ষণ ও পৃথিবীতে আসা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে আগাম বাত্রা পাওয়া যায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে।
- দেশ-বিদেশের খবর থেকে শুরু করে অনেক অজানা তথ্য খুব সহজেই পাবেন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
- নিজেদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমরা ডিজিটাল মাধ্যম ই-কমার্স ব্যবহার করে হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছি।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা
যেকোনো জিনিসের সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ডিজিটাল
প্রযুক্তি ব্যবহারেও ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি কিছু অসুবিধা রয়েছে। নিম্নে
ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের কিছু অসুবিধা গুলো বর্ণনা করা হলো ;
- ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রধান একটি অসুবিধা হল এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে প্রাইভেসি নিরাপদ নয়। প্রযুক্তিগুলো ব্যবহারকারীর পার্সোনাল তথ্য হাতিয়ে নেয়।
- অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে স্ক্যামার রয়েছে যা সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ নয়।
- সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাইবার বুলিং দিন দিন বাড়ছে।
- অতিরিক্ত ডিজিটাল ডিভাইসের সংস্পর্শে থাকলে এগুলো থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয়তা ব্রেন ক্যান্সার সহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- অনেকক্ষণ ডিজিটাল ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে দৃষ্টিশক্তি হ্রস পাই এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ফলে স্মরণ শক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
- পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যাচ্ছে এই ডিজিটাল ডিভাইসের কারণে।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির কারণে জব সেক্টরে অনেক পরিবর্তন এসেছে যার ফলে মানুষ তুলনামূলক কাজ কম পাচ্ছে।
- বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস বানাতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।
-
দীর্ঘ সময় ধরে বসে থেকে গান শোনা, সিনেমা দেখা ইত্যাদির ফলে কাজ করার সময়
শ্রবণ শক্তি কমে যেতে পারে।
শেষ কথা ঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি কি? ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার
ডিজিটাল প্রযুক্তি কি? ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার সম্পর্কে আজ
আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। দিনদিন প্রযুক্তির ধরন আপডেট হচ্ছে আগামীতে
হয়তো ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ছাপিয়ে আরো কোন প্রযুক্তির উদ্ভব হতে পারে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করে দিয়েছে। এই প্রযুক্তি
ব্যবহার করে মানুষ যেমন উপকার পাচ্ছে তেমন এর মাধ্যমে কিছু ক্ষতিও হচ্ছে।
প্রিয় পাঠক আর্টিকেলটি যদি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে
বুঝে গেছেন ডিজিটাল প্রযুক্তি কি? ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার
সম্পর্কে। এই প্রযুক্তি নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমি
যথা সম্ভব উত্তর দেবার চেষ্টা করবো। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি করার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ।
মুন্নি ফিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url