মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

   মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা। মরিঙ্গা পাউডার যেটা আমরা সজনে পাতার গুড়া হিসাবে চিনি। মরিঙ্গা বাস সজনে পাতা কে বলা হয়ে থাকে ভেষজ উদ্ভিদ যাকে আমরা সবজি হিসাবেই চিনি। সজনে পাতা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার, এর পুষ্টি উপাদান অন্যান্য সবজির চাইতে অনেক গুণ বেশি।


মরিঙ্গা-পাউডার-খাওয়ার-নিয়ম

সজনে পাতাকে মাল্টিভিটামিনের আধার বলা হয়ে থাকে। তবে সজনে ডাটার চাইতে সজনে পাতার পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি। আজকের আর্টিকেলে আমরা মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম, মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি হয়, মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।

পেজ সূচিপত্র ঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

মরিঙ্গা পাউডার কি 

মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। তার আগে আমরা জানবো মরিঙ্গা পাউডার আসলে কি। প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণের আঁধার সজনে সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, এটি একটি ভেষজ উদ্ভিদ। অন্যান্য সবজি তুলনায় সজনে পাতার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। শুধু পুষ্টিগুনে ভরপুর নয় অনেক রোগ দূর করতেও সাহায্য করে এই পাতা। বর্তমানে বাজারে এটি পাউডার গুড়া হিসাবে বিক্রি করা হচ্ছে।

আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলে প্রায় প্রত্যেকের বাড়ির আঙিনায় দেখা যায়। সজনে বা মরিঙ্গা পাতার গুড়োই অকল্পনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে যা অন্যান্য খাদ্যের থেকে অনেক বেশি। বিশেষ করে এই পাতাতে রয়েছে অ্যামিনো এসিড সহ বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান। এছাড়াও মরিঙ্গা পাউডারে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন এ ভিটামিন সি সহ আরো অন্যান্য উপাদান বিদ্যমান।

সর্বোপরি বলতে পারি মরিঙ্গা গুঁড়া বা সজনে পাতা দেহের জন্য অনেক পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে এবং অনেকগুলো খাবারের পুষ্টিগুণ এতে থেকে পাওয়া যায়। অর্থাৎ মরিঙ্গা পাউডার দেহের জন্য উপকারী পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যে কারণে একে সুপার ফুড হিসাবেও বলা হয়ে থাকে।

সজনে পাতা গুড়া খাওয়ার নিয়ম

মরিঙ্গা গুড়া একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট নির্ভর খাদ্য,সজনে পাতা গুড়া  বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। নিচে সজনে পাতা গুড়া খাওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

শরবত বানিয়ে ঃ সজনে পাতার গুড়ার সঙ্গে মধু ও লেবুর পানি মিশিয়ে আপনি শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর হবে পাশাপাশি নিয়মিত আপনি যদি এই শরবত খান তাহলে শরীরের ওজন ঠিক থাকবে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

চায়ের সাথে মিশিয়ে ঃ সজনে পাতা খাওয়ার সব থেকে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে চায়ের সাথে মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খাওয়া। কারণ যখন মরিঙ্গা গুঁড়া চায়ের সাথে মেশানো হয় তখন তা গলে তার পুষ্টিগুণ চায়ের মধ্যে বিদ্যমান থাকে যা দেহের জন্য ভীষণ উপকারী।

সালাদ ড্রেসিং হিসেবে ঃ সালাত একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং বায়োলজিক্যালি প্রপার্টিজ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সচরাচর সালাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য মিউনিস ব্যবহার করা হয়, মরিঙ্গা পাউডার মেয়োনিজ হিসেবে ভালো কাজ করে। শুধু তাই নয় এই পাউডার মিশানোর কারণে সালাদের মান বৃদ্ধি হয়, সাথে পুষ্টিগুণ তো রয়েছে।

আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

ওটমিল বা সিরিয়ালের সাথে ঃ ওত মিলের সাথে মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খাওয়া অনেক উপকারী। কারণ যখন মরিঙ্গা পাউডার মেশানো হয় তখন ওট মিলের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ আরো বৃদ্ধি পেয়ে যায় এবং বেশি গুণে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।

স্মুদি হিসেবে ঃ স্মুদি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। এই খাবারের সাথে এক বা দুই চামচ সজনে পাতার গুড়া মেশানো হলে তখন তা আরো পুষ্টিগুণ বারিয়ে দেয়। এই জন্য চেষ্টা করবেন সকালের স্মুথিতে মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খাওয়ার জন্য ।

ভাতের সাথে ঃ বাঙ্গালীদের প্রিয় খাবার হলো মাছ ও ভাত। ভাত খাবারের সময় অনেকেই সজনে ডাটা খেতে খুব পছন্দ করে। আমি নিজেই সজনে ডাটার সিজনে প্রতিদিন সবজি হিসেবে সজনে ডাটা আমার থাকবেই। তাছাড়া সজনে পাতার গুঁড়া দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার ভাতের সাথে মিশিয়ে খুব সহজেই খাওয়া যায় এবং একটি অনেক রয়েছে।

স্যুপের সাথে ঃ সচারচার সুপের সাথে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান এড করে দেওয়া হয় যেন সুপের পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে যায়। এজন্য সুপ রান্না করার সময় এক চামচ মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে দিলে সুপের মান বেড়ে যায় এবং পাশাপাশি খাবারের স্বাদও অনেক বৃদ্ধি পায়।

মসলা হিসেবে ঃ খাবার রান্না করার সময় মসলা হিসেবেও মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে কোন ভাজি রান্না করলে মসলা হিসেবে এক চামচ পরিমাণ মরিঙ্গা পাউডার অ্যাড করে দিতে পারেন। এতে আপনার খাবারের স্বাদও বাড়বে এবং পুষ্টিগুনও পাবেন ভরপুর।

মিক্সড ফুডের সাথে ঃ ড্রাই ফুড, হানি নাট অথবা মিক্সড ফুড যেটাই হোক না কেন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এসব গুলোই অনেক উপকারী। আর এগুলোর সাথে যখন মরিঙ্গা পাউডার যোগ করা হয় তখন তার পুষ্টিগুণ অনেক অংশে বেড়ে যায়। আপনি চাইলে হানি নাটের সাথে মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন।

জুসের সাথে ঃ আপনি যদি ভেবে থাকেন মরিঙ্গা পাউডার কিভাবে খাব তাহলে জুস হল একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন। যে কোন ফলের জুস বানিয়ে সাথে এক চামচ মরিঙ্গা পাউডার ভালোভাবে মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এতে জুসের যেমন পুষ্টি  উপাদান পাবেন তেমনি মরিঙ্গা পাউডারেরও পুষ্টিগুণ আপনার শরীরে পৌঁছাবে।

মরিঙ্গা পাউডার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা

উপরে আমরা আলোচনা করলাম মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এখন আপ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঃ মরিঙ্গা পাউডার প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও মরিঙ্গা পাউডারে এমাইনো এসিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে পাশাপাশি সকল ধরনের শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে।মরিঙ্গা পাউডারে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান শরীরের অনুপস্থিত পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে।

হজম ক্ষমতা বাড়ায় ঃ সজনে পাতার গুড়াই রয়েছে দ্রব্যনীয় এবং অদ্রবনীয় খাদ্য আঁশ। এই খাদ্য আঁশ হজম প্রক্রিয়ার সাহায্য কারী এনজাইম গুলোকে সচল রাখতে সাহায্য করে এবং লিভারের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।

গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করে ঃ পেটের গ্যাস দূর করার জন্য প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে মরিঙ্গা পাউডার। আপনি যদি নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পেট থেকে গ্যাস দূর করবে এবং আপনাকে গ্যাস্টিকের জন্য আলাদাভাবে ওষুধ খেতে হবে না। গ্যাসের সমস্যা দূর করতে মরিঙ্গা পাউডার জাদুকরি ভূমিকা পালন করে।

মরিঙ্গা-পাউডার-খাওয়ার-নিয়ম

শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ঃ রক্তে শর্করা থাকলে তা ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার সেবন করে থাকেন তাহলে আপনাকে এইসব রোগ সহজে আক্রান্ত করতে পারবে না।মরিঙ্গা পাউডার হলো রোগ সারানোর প্রাকৃতিক মেডিসিন।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে ঃ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে জাদুকরী ভূমিকা পালন করে এই মরিঙ্গা পাউডার। মরিঙ্গা পাউডার থাকে পটাশিয়াম লবণ যা দেহের কোন ক্ষতি করে না অন্যদিকে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ধারা অব্যাহত রাখে যার ফলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ হওয়ার পাশাপাশি রক্তের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।

শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে ঃ শারীরিক দুর্বলতার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অপুষ্টি। সজনে পাতার গুঁড়া প্রাকৃতিকভাবে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। নিয়মিত সঠিক পদ্ধতি বিশেষ করে খাঁটি মধুর সাথে মরিঙ্গা পাউডার গ্রহণ করলে খুব তাড়াতাড়ি শরীরের পুষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং শারীরিক দুর্বলতার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

হাড় মজবুত করেঃ মরিঙ্গা পাউডারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ উপাদান । এই উপাদানগুলো আমাদের দেহের কার্যক্ষমতা পরিচালিত করে থাকে, বিশেষ করে ক্যালসিয়াম, দেহের হার সুগঠিত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রকৃতিতে পাওয়া ক্যালসিয়াম বাতব্যথা হাড়জোড়া ব্যথাসহ নানা ধরনের হাড়ের সমস্যা দূর করতে পারে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে ঃ আমাদের শরীরে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরল রয়েছে। নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার সেবন করলে রক্তে থাকা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে যার ফলে আমাদের রক্তের মধ্যে থাকা উপাদান গুলো সঠিকভাবে বন্টন করতে পারে এবং হার্টের সমস্যা দূর হয়ে যায়।

আরো পড়ুন ঃ বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর সহজ উপায়

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ঃ মরিঙ্গা পাউডারে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার সতর্কতা

  • সাধারণত প্রাকৃতিক খবরে তেমন কোন পার্টস ও প্রতিক্রিয়া থাকে না তবে অতিরিক্ত যেকোনো জিনিস খেলে সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক। মরিঙ্গা পাউডার ও ঠিক তেমনি অতিরিক্ত সেবনে অবশ্যই আপনার কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে সেই সম্ভাব্য সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
  • আপনি যদি নিয়মিত ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যাবেনা।কারন মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া্র পর এমনিতেই প্রেসার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সুতরাং প্রেসারের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি যদি আপনি মরিঙ্গা পাউডার খান তাহলে আপনার প্রেসার ড্রপ করতে পারি। যেটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণ সজনে পাতার পাউডার খেলে আপনার হজম ম ক্ষমতায় সমস্যা হতে পারে। যেমন মরিঙ্গা পাউডার বেশি পরিমাণ খেলে বমি বমি ভাব হয়, ক্ষুধা মন্দা, অস্থিরতা এমনকি পেটের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আপনি যদি কিডনি সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যদিও দেহের পুষ্টি উপাদান ঠিক রাখার জন্য পরিমিত মাত্রায় মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যাবে তবে কিডনির সমস্যা আরো বৃদ্ধি হয়ে যেতে পারে।
  • গর্ভবতী মায়েদের জন্য মরিঙ্গা পাউডার না খাওয়াই উত্তম। গর্ভকালীন সময়ে অনেক কিছু থেকে সতর্ক থাকতে হয়, তার মধ্যে একটি হল সজনে পাতার গুড়া সেবন না করা। সাধারণত সজনে পাতার সাথে যে ডালগুলো থাকে তার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এগুলো শরীরে প্রবেশ করলে uminity system এর ক্ষতি করে। এর কারণে বিশেষজ্ঞগণ গর্ভকালীন সময়ে মরিঙ্গা পাউডার খেতে নিষেধ করেন।
  • বিশেষজ্ঞদের তথ্য মতে গ্রামের বেশি মরিঙ্গা পাউডার খেলে দেহে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল উপাদানের সাথে বিক্রিয়া সৃষ্টি করে বিষাক্ত করে ফেলতে পারে।
  • মরিঙ্গা পাউডার রক্তের শতকরা যদিও কমিয়ে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণের রাখতে পারে তবুও অন্যান্য ওষুধ বাদ দিয়ে শুধু মরিঙ্গা পাউডার খেলে কোন ফল পাওয়া যাবে না। কারণ মরিঙ্গা পাউডারটি সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে কিন্তু প্রতিশোধ হিসেবে নয়।
  • এছাড়াও মরিঙ্গা পাউডার কিছু কিছু ওষুধের সাথে দ্বিমুখী আচরণ করে দেহের জন্য ক্ষতিসাধন করতে পারে।

মরিঙ্গা পাউডার দাম

মরিঙ্গা পাউডার সাধারণত পুষ্টিগুণের দিক বিবেচনা করে এর দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আপনি যদি ৫০০ গ্রাম মরিঙ্গা পাউডার কিনতে চান তাহলে আপনাকে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। আর আপনি যদি এক কেজি মরিঙ্গা পাউডার কিনতে চান তাহলে ৩৬০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত দামে কিনতে পারবেন।

তাছাড়াও আপনি দোকান বেদে দাম কমবেশি করে কিনতে পারবেন। গ্রামের দোকান থেকে হয়তো কিছুটা কম দামে পেতে পারেন। তবে কেনার সময় অবশ্যই দেখে নিবেন সেখানে শুধু পাতা ব্যবহার করা হয়েছে না ডালপালাও ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া কঠিন তবুও বিশ্বস্ত দোকান থেকে কিনলে আপনাকে ঠকাবে না। তাই মরিঙ্গা পাউডার কিনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে কিনবেন।

কিভাবে মরিঙ্গা পাউডার বানাবেন

গাছ থেকে ফ্রেশ পাতা ছিড়ে প্রথমে ডগা থেকে পাতা আলাদা করে নিতে হবে। পাতার সাথে যেন কোন ডালপালা না থাকে। পাতাগুলো ছিড়ে তারপর এগুলো পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার পর রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। সজনে পাতা শুকাতে বেশি সময় লাগে না ১-২ দিনের মধ্যে দেখবেন ভালোভাবে শুকিয়ে গেছে।

মরিঙ্গা-পাউডার-খাওয়ার-নিয়ম

এবার শুকানো সজনে পাতা ব্লেন্ডারের সাহায্যে গুড়া করে নিতে হবে। ভালো করে পাতলা করে গুঁড়ো করতে হবে। গুড়ার মধ্যে যেন কোন পাতা গোটা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সম্পূর্ণ গুড়ো করা হয়ে গেলে এবার চালনিতে চেলে নিবেন। এতে যদি কোন গোটা পড়ে থাকে তাহলে বের হয়ে যাবে, এরপর শুকনা একটি ঢাকনা যুক্ত পাত্রে রেখে দিন। ঢাকনাযুক্ত পাত্রে মরিঙ্গা পাউডার রাখলে তা অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। তা না হলে যদি বাতাস পাই তাহলে পাউডারগুলি দলা দলা হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। যারা সব সময় হাতের কাছে সজনে পাতা পান না তারা এভাবে গুড়া বানিয়ে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।

মরিঙ্গা পাউডার নিয়ে বহুল আলোচিত প্রশ্ন

মরিঙ্গা পাউডার এর বাংলা অর্থ  কি?

মরিঙ্গা পাউডার এর বাংলা অর্থ হল সজনে পাতার গুড়া।

মরিঙ্গা পাউডার কিভাবে খাব ?

মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম হলো এক গ্লাস পানিতে ১০-২০ গ্রাম পাউডার মিশিয়ে খেতে হবে।

মরিঙ্গা পাউডার কখন খেতে হয় ?

মরিঙ্গা পাউডার আপনি সকাল বিকাল যে কোন সময় খেতে পারবেন।

মরিঙ্গা পাউডার মুখে দিলে কি হয় ?

মরিঙ্গা পাউডার ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী কারণ এই গুরতে আছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি যা ত্বকের রিংকেল দূর করে সাথে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।

শেষ কথা ঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সমূহ। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে মরিঙ্গা পাউডার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনি যদি আর্টিকেলটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে এতক্ষণ নিশ্চয় জানতে পেরেছেন মরিঙ্গা পাউডার কিভাবে খেতে হয়, মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার উপকারিতা ও মরিঙ্গা পাউডার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।

প্রিয় পাঠক মরিঙ্গা পাউডার নিয়ে আপনার যদি আর কোন প্রশ্ন থেকে থাকে বা জানার থাকে তবে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন আমি যথাসম্ভব সঠিক তথ্য আপনাদের দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আশাকরি আমার আর্টিকেলটি আপনার নিকট ভালো লেগেছে এমন আরো আর্টিকেল পড়ার জন্য নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুন্নি ফিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url