ফর্সা হবার সবচেয়ে ভালো সাবান

   ফর্সা হবার সবচেয়ে ভালো সাবান। ফর্সা হবার জন্য আমরা কত কিছুই না করি তাই না? কত দামী দামী সাবান, ফেশওয়াশ, ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। তবে সব সাবান বা ফেশওয়াশে ফর্সা হওয়া যায় না।তবে নির্দিষ্ট কিছু সাবান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সাহায্য করবে।


ফর্সা-হবার-সবচেয়ে-ভালো-সাবান

আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো  ফর্সা হবার জন্য সবচেয়ে কোন সাবান ভালো। আপনারা অনেকেই জানতে চান ফর্সা হওয়ার জন্য কোন সাবান বেশি ভালো।ত্বকের কোন ক্ষতি ছাড়াই দাগহীন উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কোন সাবান ভালো হবে, সেই সম্পর্কে আজ আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো। তাহলে স্ক্রিপ্ট না করে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্র ঃ ফর্সা হবার সবচেয়ে ভালো সাবান

ফর্সা হবার সাবানের নাম

ফর্সা হবার সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটা ? এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। আজকে আপনাদেরকে এমন একটি সাবানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো যে সব সাবান ব্যবহার করলে খুব দ্রুত আপনার পুরো শরীর ফর্সা করতে পারবেন এবং ত্বকের মৃত চামড়াগুলো দূর করতে পারবেন। এবং ত্বক হবে  উজ্জ্বল ও ফর্সা।

বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের ফর্সা হওয়ার সাবান পাওয়া যায়।সে  সকল সাবানের মধ্যে অন্যতম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে Whitening Goat Milk Soap এই সাবানটি। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সহায়তা করবে সেইসাথে আপনার ত্বকের পুরনো চামড়া দূর করতেও সহায়তা করবে। শুধু তাই নয় ত্বকের নানা রকমের কালো দাগ ব্রনের দাগ দূর করতেও এই সাবানটি সাহায্য করবে।

এটি একটি হারবাল সাবান, এই সাবানটি যদি আপনি দুইটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি ভালো একটি ফলাফল পাবেন। শুধু তাই নয় এই সাবানটি ব্যবহার করার ফলে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ এবং ঘাড়ের কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করবে। শুধু মুখ নয় আপনি চাইলে পুরো শরীরে এই সাবানটি ব্যবহার করতে পারবেন।

আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

Whitening Goat Milk Soap সাবানটি আপনি মুখে ব্যবহারের জন্য অল্প পরিমাণ সাবান নিবেন এবং হালকা পরিমাণ মেসেজ করে ধুয়ে ফেলবেন। আর আপনি যদি সমস্ত শরীরে এই সাবানটি ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অন্যান্য সাবানের মত এটি ব্যবহার করতে হবে।

ফর্সা হবার সাবানের দাম

Whitening Goat Milk Soap ফর্সা হবার জন্য এসব সাবানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ টাকা। বর্তমানে বাংলাদেশের যে কোন কসমেটিক দোকান থেকে থাইল্যান্ডের এই সাবানটি ক্রয় করতে পারবেন। তবে অবশ্যই এসব সাবান কেনার আগে ভালোমতো দেখেশুনে কিনবেন এবং অরিজিনাল প্রোডাক্ট চেনার জন্য তাদের হলো গ্রাম দেখে কিনবেন।Whitening Goat Milk Soap এই নামটি সাবানের গায়ে  সুন্দর মতো দেওয়া থাকবে সেখান থেকে অরিজিনাল চিনতে পারবেন।

সাবানের নাম ঃ Whitening Goat Milk Soap

সাবানের দাম ঃ ৬৫০ টাকা

ব্যবহার ঃ সপ্তাহে ৫ দিন

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঃ আছে

হাত-পা ফর্সা করা সাবানের নাম

আপনি যদি হাত পা মুখের ত্বকের মত ফর্সা করতে চান তাহলে Dxn ganozhi soap এ সাবানটি ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে তিন মাস পর্যন্ত এই সাবানটি যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে হাত পা অনেকটাই ফর্সা হয়ে যাবে।Dxn ganozhi soap সাবানটিতে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই , তবে যাদের অ্যালার্জি আছে বা ত্বকের সাথে এডজাস্ট করে না এমন কোন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই সাবান ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

মুখের তুলে নাই হাত-পা কিছুটা কালো হয়ে থাকে এটা প্রায় অনেকেরই। এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্যDxn ganozhi soap এই সাবানটি ব্যবহার করতে পারেন। সাবানটির ব্যবহারে ভালো উপকার পাবেন আশা করা যায়। আমার পরিচিত অনেকে সাবানটি ব্যবহার করেছে, তারাও ভালো রেজাল্ট পেয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। একটানা তিন মাস সাবানটি ব্যবহার করে দেখেন।

পুরো শরীর ফর্সা করা সাবানের নাম

পুরো শরীর ফর্সা করার জন্য power laser light girl soap সাবানটি খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন গোসলের সময় এই সাবান নিয়মিত ব্যবহার করলে তিন মাসের মধ্যেই পুরো শরীর ফর্সা করতে পারবেন। তবে যাদের অ্যালার্জি বা অন্যান্য ত্বকের প্রবলেম রয়েছে সেই ক্ষেত্রে তাদের শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে সাবান মাখা থেকে বিরত থাকুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পুরো শরীর ফর্সা করার জন্য বাজারে অনেক ধরনের সাবান পাওয়া যায় তবে সব সাবানই ফর্সা হবার জন্য কার্যকারী তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রে সাবান কিনার আগে অবশ্যই আপনাকে যাচাই বাছাই করে কোনটা ভালো হবে সেই সাবানটি কিনতে হবে। এছাড়াও অনলাইন থেকে যদি আপনি সাবান কিনে থাকেন তাহলে সেটা যে অরিজিনাল সেই ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। অরিজিনাল  সাবান সম্পর্কে জানতে আরও আপনি ইউটিউবের ফিডব্যাক গুলো যাচাই-বাছাই করুন।

ত্বকের জন্য সেরা ১০ টি সাবানের নাম

ত্বকে ব্যবহার করার জন্য বাজারে অনেকগুলো ধরনের সাবান কিনতে পাওয়া যায়। তবে সব সামানই কিন্তু ত্বকের জন্য কার্যকরী নয়, অনেক সাবান এমন আছে যা ত্বকের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক। ত্বকের জন্য ভালো মানের দশটি সাবান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ত্বকের জন্য ভালো মানের ১০টি সাবান সম্পর্কে।

  1. Neam Soap
  2. Dove Original Beauty Bar
  3. Lux Soft Glow Soap
  4. Dettol Original Bath Soap
  5. Meri milk Soap Bar
  6. Savlon Active Anti Septic
  7. Sandalina Sandal Soap
  8. Lifebouy Soap Bar
  9. Activo Health Soap Bar
  10. Godrej Cinthol Lime Deo Soap

উপরে উল্লেখিত সাবানগুলো আপনি পুরো শরীরে ব্যবহার করতে পারবেন তবে মুখে ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এইসব সাবানের মধ্যে ক্ষারের পরিমাণ বেশি রয়েছে যা মুখে ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে। শুধু মুখের জন্য নয়  চুলের জন্য এই সাবান গুলি ক্ষতিকর হতে পারে।

চুলের জন্য কোন সাবান ভালো

চুলের জন্য সবথেকে ভালো মানের সাবান হল ডাব সাবান। শুধু চুলের জন্য নয় এটি মুখের ত্বকের জন্য খুব উপকারী একটি সাবান। নিয়মিত এই সাবান ব্যবহার করলে চুল ঘন কালো এবং সিল্কি হবে পাশাপাশি চুল ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাবে। যারা চুল ওঠা সমস্যায় ভুগে থাকেন অনায়াসে এই সাবানটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ডাব সাবান চুল পড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায় এবং খুশকি দূর করে।

ফর্সা-হবার-সবচেয়ে-ভালো-সাবান

এই সাবানটি আপনি সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারবেন। নিয়মিত ডাব সাবান ব্যবহারে আপনার চুলের নানা ধরনের সমস্যা দূর হবে এবং চুল পড়ার রোধ করবে। শুধু তাই নয় ডাব সাবান ব্যবহার করলে আপনাকে এক্সট্রা কোন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে না।বর্তমানে অনেক ডাক্তারেরা চুল পড়ে যাওয়া ও খুশকি দূর করার জন্য ডাব সাবান ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ব্রণের জন্য কোন সাবান ভালো

ব্রণের জন্য সবথেকে ভালো সাবান হচ্ছে লাইফবয় সাবান। এ সাবানটি আপনি দিনে তিনবার ব্যবহার করলে ব্রনের দাগ দূর হয়ে যাবে পাশাপাশি ত্বকে আর কোন ব্রণ উঠবে না। এমনকি আপনার শরীরে যদি নানা ধরনের ভাইরাসজনিত সমস্যা থেকে থাকে বা ইনফেকশন দেখা দেয় তাহলে লাইফবয় সাবান নিয়মিত ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি এসবের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। আর আমরা তো সকলেই  লাইফ বয় সাবানকে জীবাণু দূর করার সাবান হিসাবে চিনি।

তবে আপনি যদি লাইফবয় সাবান মাখার পাশাপাশি ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য অন্য কোন ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে ব্রণের সমস্যা থেকে বের হতে নাও পারেন। কারণ বাজারে কিনতে পাওয়া যাওয়া ব্রনে দূর করার জন্য যেসব কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম পাওয়া যায় , সেই ক্রিম গুলো আসলে ত্বকের জন্য উপকার না করে অনেক ক্ষতি করে। তাই হয়তো আপনি ভাবতে পারেন লাইফবয় সাবান ব্যবহার করছি তবুও কেন ব্রণ দূর হচ্ছে না ? আসলে সাবানের পাশাপাশি অন্য কোন কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকবেন তাহলে আপনি লাইফবয়স সাবানে উপকার পাবেন।

ময়েশ্চারাইজার সাবানের নাম

বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের মশ্চারাইজার সাবান পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখিত হল মেরিল স্যান্ডেলিনা ডাব সাবান গ্লিসারিন এগুলোই হল বাজারের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মশ্চারাইজার সাবান। যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক ও ড্রাই তারা নিয়মিত এই সাবান গুলি ব্যবহার করতে পারবেন। নিয়মিত ব্যবহারে মশ্চারাইজার সাবান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে পাশাপাশি ব্রণ ও দাগের সমস্যা দূর করবে।

তৈলাক্ত ত্বকের ভালো জন্য সাবান

আপনার ত্বকে যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দেখা দেয় পাশাপাশি ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে সব থেকে ভালো সাবান ব্যবহার করা উচিত সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ উঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেই সাথে যে সমস্ত সাবানের বেশি মাত্রায় হার রয়েছে সেই সমস্ত সাবান ব্যবহার না করায় উচিত। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সাবান গুলি হল চলুন একটু আলোচনা করি।

আরো পড়ুন ঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার ১০টি কার্যকারী উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো মানের সাবান হলো কসকো সাবান। এই সাবান ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে পাশাপাশি এলার্জিজনিত সমস্যা থাকলেও দূর হয়ে যাবে। এছাড়া আপনার যদি ত্বকে ব্রণের অনেক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বর্তমান সময়ের খুব জনপ্রিয় একটি সাবান হল কসকো সাবান যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দিনে কমপক্ষে দুইবার এই সাবানটি ব্যবহার করুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে ত্বকে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।

শীতকালে কোন সাবান ভালো

অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে ত্বক নিয়ে সবাই একটু বেশি চিন্তিত থাকে। কেননা শীতকালে ত্বক অনেক ড্রাই ও শুষ্ক হয়ে থাকে। এই ড্রাই ও শুষ্ক ভাব দূর করতে আপনি নিয়মিত লাইফবয় ,  ডেটল , কেয়া সাবান ব্যবহার করতে পারবেন শীতকালে। তবে আপনাদের যদি ত্বকে এলার্জি থাকে তাহলে কসমেটিকস সাবান ব্যবহার করতে পারবেন শীতকালে। আপনি যদি শীতকালে এই সব সাবান ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের কোন সমস্যা হবে না এই সাবান গুলি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি শীতকালে নিয়মিত অন্যকোন সাবান ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেগুলো বদলে নেওয়াই ভালো। কেননা এলকোহল উপাদান আছে এমন সব সাবান শীতকালে ব্যবহার না করাই ভালো। এই সাবান গুলির মাধ্যমে আপনার ত্বকে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ত্বক শুষ্ক ও ড্রাই হয়ে যেতে পারে। তাই এই সাবানগুলি নিয়মিত ব্যবহার না করে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য সাবান ব্যবহার করুন।

ত্বকের রুক্ষতা ও ড্রাইভার দূর করার জন্য আপনি সাবানের পাশাপাশি ভালো মানের বডি লোশন ব্যবহার করতে পারবেন যার ফলে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে সহায়তা করবে। তাই আপনি চাইলে শীতকালে ভালো মানের বডি লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হওয়ার সাবান তৈরি

বর্তমানে ফর্সা হওয়ার জন্য ঘরোয়া উপাদান দিয়েও সাবান তৈরি করা সম্ভব। ভালো মানের সাবান এবং ত্বক ফর্সা করার জন্য বাড়িতে থাকা বেশ কিছু উপাদান দিয়ে আপনি সাবান তৈরি করতে পারবেন। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি কৃত সাবান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে পাশাপাশি ত্বককে দাগ হীন ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাড়িতে কিভাবে সাবান তৈরি করবেন সেই ব্যাপারে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ ঃ

  • গ্লিসারিন সাবান বেস -১ কাপ (এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, ত্বক মশ্চারাইজার করে)
  • কোজিক অ্যাসিড পাউডার -১ চা চামচ(ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে)
  • প্যাপাইয়া পিউরি -২ চা চামচ (ত্বক উজ্জ্বল করে)
  • লেবুর রস - ১ চা চামচ 
  • নারিকেল তেল - ১ চা চামচ (ত্বক মশ্চারাইজার করে)
  • গ্লুটাথায়ন পাউডার -১ চা চামচ (ত্বক উজ্জ্বল করে)

প্রস্তুত প্রণালী ঃ

গ্লিসারিন সাবান বেস্ট গলানো ঃ প্রথমে একটি মাইক্রো ওভেনে গ্লিসারিন সাবানটি গলিয়ে নিতে হবে। সাবান বেসটি ভালোভাবে গলে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখতে হবে।

উপাদান মেশানো ঃ গলে যাওয়া সাবান বেসে কৌজিক অ্যাসিড ,গ্লুটাথায়ন পাউডার,প্যাপাইয়া পিউরি,লেবুর রস,নারিকেল তেল একসাথে  ভালোভাবে মিশান।

ফর্সা-হবার-সবচেয়ে-ভালো-সাবান

ছাঁচে ঢালুন ঃ মিশ্রণটি সাবান তৈরির জন্য ছাঁচে ঢেলে রাখুন। তবে যদি সাবানের ছাঁচ না থাকে তাহলে কাগজ বা প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করতেও পারবেন।

সেট করা ঃ সাবানটি ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে নিন। এবার সম্পূর্ণ ঠান্ডা হয়ে গেলে সাবানটি ছাঁচ থেকে বের করুন ।

ফর্সা হবার সাবান ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক

ফর্সা হবার সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। চলুন একটু জেনে আসি।

শুষ্কতা দেখা দেয় ঃ ফর্সা হওয়া সাবানে বেশিরভাগ রাসায়নিক পদার্থ থাকে যার ফলে নিয়মিত ত্বকে ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা দেখা দেয়। তাই যারা শুষ্ক ত্বক চান না ত্বক ভালো রাখতে চান তারা ফর্সা হবার সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন ।

ত্বকের বার্ধক্য ত্বরান্বিত হয় ঃ অতিরিক্ত রাসায়নিক যুক্ত সাবান ব্যবহারের কারণে ত্বকের  জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ ত্বকের জন্য এই সব রাসায়নিক যুক্ত সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

ত্বকে এলার্জি হতে পারে ঃ এমনও কিছু ফর্সা হওয়া সাবান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে তাকে এলার্জি ও জ্বালাপোড়া হতে পারে। যাদের ত্বকে এলার্জি সমস্যা তারা কোনরকম কেমিক্যালযুক্ত ফর্সা হবার সাবান ব্যবহার করবেন না।

শেষ কথা ঃ ফর্সা হবার সবচেয়ে ভালো সাবান

ফর্সা হবার জন্য সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন। আমার আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে ফর্সা হবার ভালো সাবান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। ফর্সা হবার ভালো সাবান সম্পর্কে আপনাদের যদি আর কোন প্রশ্ন থাকে বা কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।

আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করব আপনাদের সাথে সঠিক তথ্যটি তুলে ধরার জন্য। যেন আপনারা আমার বলে দেওয়া তথ্য থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হন, মূলত এটাই হলো আমার উদ্দেশ্য। আমার আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুন্নি ফিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url