আমলকির পুষ্টিগুণ ও ১৫টি কার্যকারি উপকারিতা

   আমলকির পুষ্টিগুণ ও ১৫টি কার্যকারি উপকারিতা। আমলকি একটি সুপরিচিত ফল যা তার উচ্চ পুষ্টিমান এবং বহুমুখী স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য জনপ্রিয়। এটি আয়ুর্বেদ ও প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রে বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে প্রচুর পরিমাণ "ভিটামিন সি", অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

আমলকির-পুষ্টিগুণ-ও-১৫টি-কার্যকারি-উপকারিতা

আজকে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমলকির পুষ্টিগুণ ও ১৫টি কার্যকারী উপকারিতা সম্পর্কে। যারা আমলকির পুষ্টি গুনাগুন ও বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ুন আশা করি উপকৃত হবেন।

পেজ সূচিপত্র ঃ আমলকির পুষ্টিগুণ ও ১৫টি কার্যকারি উপকারিতা

আমলকির পুষ্টি গুনাগুন

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে "ভিটামিন সি"। এজন্য আমলকিকে বলা হয় ভিটামিন সি এর রাজা। দেশীয় ওষুধ এবং পণ্য সামগ্রীতে আমলকি ব্যবহার করা হয়। "ভিটামিন সি" এর অভাবে যেসব রোগ হয় আমলকি খেলে তার জাদুকারি উপকারিতা পাওয়া যাবে। আজকে আমরা জানবো আমলকিতে কি পরিমান পুষ্টি উপাদান রয়েছে সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকির মধ্যে কতটুকু পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান সেই সম্পর্কে জেনে নিই।

ক্যালরি : ৪৪ কিলোক্যালরি 

প্রোটিন : ০.৫ গ্রাম

ভিটামিন সি : ২৫০-৩০০ মিলিগ্রাম

ফ্যাট : ০.১ গ্রাম

ক্যালসিয়াম : ২৫ মিলিগ্রাম

আয়রন : ০.৩ মিলিগ্রাম

কার্বোহাইড্রেট : ১০.২ গ্রাম

ডায়েটারি ফাইবার : ৪.৩ গ্রাম

আমলকির ১৫টি কার্যকারি উপকারিতা

উপরের আলোচনায় আমরা আমলকির পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা জানবো আমলকি ১৫ টি কার্যকরী উপকারিতা সম্পর্কে। আমলকি  আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কি কি উপকার পাবো আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে সে সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো আপনাদের সাথে। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ঃ আমলকিতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি যা শরীরের কমিউনিটি বাড়ায় এবং সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এমনকি আমলকি ব্যাকটেরিয়াল এবং ভাইরাল সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। মাত্র একটি আমলকি ভিটামিন সি এর দৈনিক চাহিদার ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে পারে। শুধু তাই নয় আমলকি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এ পূর্ণ কোষের ক্ষতি কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

আরো পড়ুন ঃ হাঁসের ডিম না মুরগি কোন ডিমে পুষ্টি বেশি

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ঃ ভিটামিন সি এর পাশাপাশি আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এর দ্রব্যনীয় ফাইবার শরীরে দ্রুত দ্রবীভূত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এসিডিটি এবং আলসারের মতো অসুস্থতা সারাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমলকি পিত্তরস নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে।

লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে ঃ আমলকি লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এবং ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যার ঝুঁকি কমায়। দিনে ১টি করে আমলকি খেলে আপনার লিভার সুস্থ থাকবে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত হবে। আমলকি খেতে কিছুটা তিতকুটা লাগে যার কারনে সবাই খেতে চাইনা।

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ঃ আমলকির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনাল রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা  বৃদ্ধি করে। এমনকি আমলকিতে যে পরিমাণ দ্রব্যনীয় ফাইবার রয়েছে যা শরীরে ধীরে ধীরে শোষিত হয় এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে ঃ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এ ফল খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে, যে কারনে ঘন ঘন ক্ষুধা পায় না, এবং দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করে। আমলকি আপনার বিপক্ষে হার বাড়িয়ে শরীরে ফ্যাট বার্ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ঃ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে "ভিটামিন সি"। এই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা ত্বককে উজ্জ্বল তরুণ রাখে। আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বা কোমলতা নিয়ে শঙ্কায় থাকেন তাহলে নিয়মিত ১-২ টি আমলকি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে ঃ আমলকি শুধু সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয় বরং আমলকি ত্বকের ও চুলের জন্য ভীষণ উপকারী একটি ফল। চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া কমায়, এবং অকালে চুল পাকার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে এই আমলকি।

চোখের দৃষ্টি শক্তিশালী করে ঃ আমলকি চোখের জন্য ভীষণ উপকারী, কারন এতে রয়েছে ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের দৃষ্টিশক্তির তীক্ষ্ণ করতে চাইলে নিয়মিত ১টি করে আমলকি ফল খান।

হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ঃ শরীরের জন্য খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে আমলকি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় আমলকি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া ও শরীর থেকে অবাঞ্চিত টক্সিন দূর করে এবং রক্তনালীকে শক্তিশালী করতে ভীষণ সাহায্য করে।

শরীরকে ডিটক্সিফাই করে ঃ আমলকি শরীরে থাকা বিভিন্ন ধরনের টক্সিক দূর করে এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। কিডনিকে সুস্থ রাখতে আমলকি ভীষণ উপকারী একটি ফল। নিয়মিত আমলকি খেতে না পারলেও মাঝে মধ্যে খাওয়ার চেষ্টা করুন সুস্বাস্থ্যের জন্য।

হাড় শক্তিশালী করে ঃ আমলকিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং অস্ট্রিওপরোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করে। যারা মধ্যবয়স্ক আছেন তাদের উচিত একটি করে আমলকি খাওয়ার কেননা মাঝ বয়সী মানুষদের হাড়ের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। কেননা ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হয়, যেটা মধ্য বয়সী মানুষদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে ঃ আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা মস্তিষ্কের নিউরনের ক্ষয় প্রতিরোধ করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকি খেলে স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হবে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও বৃদ্ধি পাবে। তাই অবশ্যই আমলকি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে ঃ আয়রন সমৃদ্ধ আমলকি রক্তের লোহিত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে। যার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং রক্তশূন্যতা দূর করে। তাহলে বুঝতে পারছেন আমলকি খাওয়ার উপকারিতা কতটা।

বার্ধক্য প্রতিরোধ করে ঃ আমলকি এন্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ হওয়া এটি কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলো দেরিতে আসে। সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং সুন্দর দেখার জন্য অবশ্যই আমলকি তুলনা নেই।

প্রদাহ হ্রাস করে ঃ আমলকিতে থাকা এন্টি ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী আর্থাইটিস এবং অন্যান্য প্রদাহ জনিত রোগের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আমলকি বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে যেমন ভরপুর তেমন এর উপকারিতা ও অপরিসীম। প্রতিটি ব্যক্তিকেই সুস্বাস্থ্যের জন্য আমলকি খাওয়ার জন্য উৎসাহ দিবেন। প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার মাধ্যমে আমরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে চাই।

আমলকি খাওয়ার অপকারিতা

আমলকির অনেক পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা রয়েছে এটা আমরা সকলেই জানি। তবে অতিরিক্ত আমলকি খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এটা হয়তো অনেকের জানা নেই। প্রতিটা জিনিসের যেমন উপকার রয়েছে তেমন অতিমাত্রায় তা গ্রহণ করলে উপকারের তুলনায় ক্ষতি বেশি হয়। তাই আজকে আমরা জানবো অতিমাত্রায় আমলকি খেলে কি ক্ষতি হয় বা অপকারিতা পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।

অ্যাসিডিটি বাড়ায় ঃ অতিরিক্ত আমলকি খেলে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। যাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা বেশি রয়েছে তারা আমলকি পরিমাণে কম খাবেন।

ডায়রিয়া ঃ বেশি পরিমাণে আমলকি খেলে অন্তর গতিশীলতা বেড়ে ডায়রিয়া হতে পারে। তাই কোন জিনিস সহ বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আপনার পেটের সমস্যা থাকলে আমলকি না খাওয়াই ভালো।

অতিরিক্ত প্রসাবের সমস্যা ঃ আমলকি ডায়ুরেটিক হাওয়ায় এটি অতিরিক্ত প্রসবের সমস্যা তৈরি করতে পারে। যাদের অতিরিক্ত প্রসবের সমস্যা রয়েছে তাদের আমলকি থেকে দূরে থাকা উচিত।

অপারেশনের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর ঃ যাদের অপারেশন হয়েছে এমন রোগীদের আমলকি থেকে দূরে থাকতে হবে। অপারেশনের রোগীদের জন্য আমলকি ভীষণ ক্ষতিকর।

ত্বকের শুষ্কতা ঃ কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যেতে পারে। আপনার যদি শুষ্ক ত্বক হয় তাহলে অবশ্যই আমলকি কম খাবেন। বেশি পরিমাণ আমলকি আপনার ত্বকের ক্ষতি সাধন করবে।

আরো পড়ুন ঃ  কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

রক্তপাতলা হয় ঃ আমলকি রক্ত তরল করার ক্ষমতা রাখে যা বেশি পরিমাণ গ্রহণ করলে রক্ত পাতলা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তাই অবশ্যই আমলকি কম পরিমাণ খাবেন।

অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা ঃ আমলকি শরীর ঠান্ডা করে, তাই শীতকালে অতিরিক্ত আমলকি খাবেন না, অতিরিক্ত আমলকি খেলে ঠান্ডা বা সর্দি জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

রক্তে শর্করা কমায় ঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যাধিক কমে দিতে পারে। তাই যাদের ডাইবেটিকস আছে তারা অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।১-২ টা খেলে কোন সমস্যা হবে না। তবে বেশি উপকার পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে অবশ্যই তা আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

কিডনির সমস্যা ঃ আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এটা আমরা জানি। অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণ করলে কিডনির পাথর তৈরির সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। তাই নিয়মমতো আমলকি খাবেন। যেন উপকারের জায়গায় অপকার না হয়  শরীরের জন্য।

লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঃ আমলকির সাথে আদা মিক্স করে খেলে লিভারের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে। তাই আমলকি অবশ্যই চাবিয়া খাবার চেষ্টা করবেন, এবং আদার সাথে মিশিয়ে খাবেন না। আর আমলকি খাওয়ার সময় চেষ্টা করবেন জুস করে না খাওয়ার। আমলকি চাবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা বেশি।

আমলকি খাওয়ার নিয়ম 

সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারেন। তবে রসের পরিমাণ ১০ মিলিগ্রামের বেশি যেন না হয়। আবার আমলকি কাঁচা চাবিয়ে কিংবা রোদে শুকিয়ে খেতে পারেন। আমলকি জুস খাওয়ার চাইতে চাবিয়ে খাওয়া বেশি ভালো। এছাড়াও আপনি চাইলে আমলকি কে ছোট ছোট টুকরা করে তার উপর লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে খেতে পারেন।

এমনকি আমলকি আপনি আচার বানিয়েও খেতে পারবেন। আমলকি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এমন কি চুল এবং ত্বকের জন্য বেস উপকারী। প্রতিদিন আপনি আমলকি খেতে পারবেন তব.১-২ টি এর বেশি খেলে উপকারের তুলনায় অপকারের সম্ভাবনা রয়েছে।

আমলকি সম্পর্কে আলোচিত প্রশ্ন

আমলকি কি কাঁচা খাওয়া যাবে ?

হ্যাঁ, আমলকি কাঁচা খাওয়া যাবে। আবার এটি রস বা পেস্ট আকারেও খেতে পারবেন।

আমলকি কাদের খাওয়া উচিত নয় ?

আমলকি সবার জন্য খাওয়া উচিত নয়। যেমন; অপারেশনের রোগীদের জন্য আমলকি ক্ষতিকর, যাদের এলার্জি রয়েছে, এবং যাদের অতিমাত্রায় গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। এ ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের জন্য আমলকি খাওয়া উচিত নয়।

খালি পেটে আমলকির রস খেলে কি হয় ?

অনেকেই খালি পেটে আমলকির রস খেয়ে থাকে। খালি পেটে আমলকির রস খেলে সর্দি-কাশি দূরে থাকে এমনকি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হাত থেকেও বাঁচায়।

দিনে কয়টি আমলকি খাওয়া উচিত ?

আপনি যদি প্রতিদিন আমলকি খেতে চান তাহলে দিনে ১-২ টি আমলকি খেতে পারবেন। এর বেশি খেলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

কাঁচা আমলকি কিভাবে খাব ?

কাঁচা আমলকি টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়ে লবণ ও মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।

আমলকি খেলে কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ?

হ্যাঁ, আমলকি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আমলকি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী একটি ফল।

আমলকির সাথে মধু খাওয়া যাবে কি ?

হ্যাঁ, আমলকির সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, এটি খেতে যেমন সুস্বাদু হবে তেমন উপকারিতাও পাবেন ভালো।

আরো পড়ুন ঃ বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর সহজ উপায়

শেষ কথা ঃ আমলকির পুষ্টিগুণ ও ১৫টি কার্যকারি উপকারিতা

আমলকি একটি অসাধারণ পুষ্টিকর ফল যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে এটি পরিমাণ মতো গ্রহণ করাই উত্তম যাতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো এড়ানো যায়। আপনারা যদি পরিমাণমতো আমলকি খান তবে অবশ্যই উপকার পাবেন। প্রতিটা জিনিসেরই উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে আমলকি ও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে এতক্ষণে জেনে গেছেন আমলকির পুষ্টিগুণ ও ১৫টি কার্যকারি উপকারিতা সম্পর্কে।

প্রিয় পাঠক, আমার আর্টিকেলটি অনুসরণ করলে অবশ্যই আপনি উপকৃত হবেন আশা করছি । আমলকি সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করবো সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার। আমার পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুন্নি ফিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url