কলার মোচার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
কলার মোচার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা। কলার মোচা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী একটি তরকারি। ফল হিসাবে কলা যেমন উপকারী তেমন সবজি হিসেবেও কলার মোচা অনেক উপকারী। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান। বারোমাসি এইসব সবজিটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন পুষ্টিকর।
কলার মোচাকে ইংরেজিতে বলা হয় ব্যানানা ফ্লাওয়ার। কমবেশি আমরা কলার মোচা
সকলেই চিনি। তবে আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কলার মোচার
১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং এর পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে। তাহলে বিস্তারিত
জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পেজ সূচিপত্র ঃ কলার মোচার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
- কলার মোচার ১৫ টি উপকারিতা
- কলার মোচার পুষ্টিগুণ
- কলার মোচার অপকারিতা
- কলার মোচা রান্নার রেসিপি
- গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা
- কলার মোচার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত প্রশ্ন
- শেষ কথা ঃ কলার মোচার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
কলার মোচার ১৫ টি উপকারিতা
কলার মোচা রান্না করে খেতে খুবই মজাদার ও সুস্বাদু একটি তরকারি। কলা বা কলার মোচা কয়েক রকম ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। কলার মোচার যেমন অনেক গুনাগুন রয়েছে, এতে অনেক উপকারিতা ও রয়েছে। আসুন জেনে নেয়া যাক কলার মোচার কার্যকরী ১৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে।
- রক্তস্বল্পতা দূর করে
- মন ভালো রাখে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
- হিমোগ্লোবিনের উৎস
- শরীর গঠন করে
- আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে
- পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্দ্রোমের সমস্যা কমায়
- দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
- ব্লাড প্রেসার কমায়
- হজম ক্ষমতা বাড়ায়
- আমাশয় রোগের ঔষধ
- বুকের দুধ তৈরিতে সাহায্য করে
- মেয়েদের পিরিয়ড জনিত সমস্যা দূর করে
- ক্যান্সার প্রতিহত করে
- ভিটামিনের উৎস
চলুন কলার মোচার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে একটু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করি।
রক্তস্বল্পতা দূর করে ঃ রক্তের মূল উপাদান হিমোগ্লোবিন কে
শক্তিশালী করতে কলার মোচার তুলনা হয় না। দেহের রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে এবং
রক্তশূন্য তাই ভোগা রোগীদের জন্য কলার মোচা খুবই উপকারী একটি তরকারি। আপনি
যদি রক্তস্বল্পতায় ভুগেন তাহলে অবশ্যই খাবারের তালিকায় করার মজা রাখুন।
মন ভালো রাখে ঃ কথায় আছে শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকে, কলার
মোচায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা উদ্বেগ ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। যার
ফলে শরীর সুস্থ থাকে এবং মন মেজাজ ভালো থাকে।
ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ রাখে ঃ ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কলার
মোচা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কলার মোচা খেলে রক্তে থাকা চিনির মাত্রা কমে এবং
ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কলার মোচার উর্ধ্বে
কিছু নেয়। আপনি যদি ডায়াবেটিসের আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে কলার মোচা খেয়ে
দেখুন অবশ্যই উপকার পাবেন।
হিমোগ্লোবিনের উৎস ঃ মোচায় রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ফাইবার, আর
উচ্চমাত্রার লৌহ উপাদান, যা লোহিত কণিকার উপাদান বাড়ায়। যার ফলে
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
শরীর গঠন করে ঃ কলার মোচা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ
হওয়ায় আপনার শরীরের গঠন উন্নত করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি শক্তিশালী করে তোলে।
শরীরের গঠন ঠিক রাখতে অবশ্যই নিয়মিত কলার মোচা খেতে হবে।
আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে ঃ মোচাই রয়েছে অনেক রকমের ভিটামিন,
পটাশিয়াম,ফসফরাস, লোহ যা শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। যাদের শরীর দুর্বল বা
অল্পতে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদের জন্য কলার মজা মিশন কার্যকারী একটি তরকারি।
যার ফলে আপনার বাড়তে আয়রনের প্রয়োজন পড়বে না।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমের সমস্যা কমায় ঃ পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কলার মোচা ভিশন কার্যকারী একটি সবজি। পেট ফাঁপা, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য,পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম এ সমাধান করতে পারে কলার মোচা।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ঃ কলার মোচায় থাকা ভিটামিন এ রাতকানা
রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। অকালে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ভয় থাকে না এবং
দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে। তাই দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে অবশ্যই
মোচার তরকারি খাবেন।
ব্লাড প্রেসার কমায় ঃ কলার মোচায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ
পটাশিয়াম, যা আপনার শরীরে থাকা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চ রক্তচাপের
মাত্রা কমায়। যারা ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা নিয়মিত খাবারের
তালিকায় মোচার তরকারি রাখুন। ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা দূর হয়ে যাবে
ইনশাআল্লাহ্।
ত্বক ভালো রাখে ঃ মোচায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যার ফলে আপনাকে অকালে বৃদ্ধ হওয়া ও বয়সের ছাপ পড়া কমায়
এবং ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। তাই চেস্টা করবেন নিয়মত কলার মোচা
রান্না করে খাওয়ার। এটা আপনার ত্বক ভালো রাখতে ভীষণ কার্যকরী ভূমিকা
পালন করে।
হজম ক্ষমতা বাড়ায় ঃ কলার মোচায় প্রচুর পরিমাণ আঁশ পাওয়া
যায়, যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যই যদি ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে কলার মোচা
খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
আমাশয় রোগের ঔষধ ঃ কলার মোচাকে তো অনেকেই আমসা রোগের ওষুধ হিসাবে বলে থাকে। কেননা আপনার যদি আমাশয় হয় বা ডায়রিয়া তাহলে কলা এবং কলার মোচা রান্না করে খান। এই তরকারিটি এতই উপকারী আমাশয় রোগের জন্য যে, আলাদাভাবে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
বুকের দুধ তৈরিতে সাহায্য করে ঃ কলার মোচায় রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যালাক্টাগাগ । যা স্তন্যদানকারী মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যাদের ছোট বাচ্চার রয়েছে বা বাচ্চা বুকের দুধ খায় তারা নিয়মিত সবজি তরকারি হিসেবে কলার মোচা খাবেন। এটি আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখবে এবং বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
আরো পড়ুনঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
মেয়েদের পিরিয়ড জনিত সমস্যা দূর করে ঃ মেয়েদের পিরিয়ড
চলাকালীন অবস্থায় বেশি রক্তপাতের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এতে শরীর দুর্বল হয়ে
যায় এবং ব্যথা অনুভব করে। এর সহজ সমস্যার সমাধান হলো পিরিয়ড চলাকালীন প্রতিদিন
নিয়মিত কলার মোচা তরকারি রান্না করে খান। এতে আপনার শরীরের দুর্বলতা কমাবে এবং
রক্তস্বল্পতা দূর করবে।
ক্যান্সার প্রতিহত করে ঃ শরীরে ফ্রি ও রেডিক্যাল এর
উপস্থিতি বিভিন্ন রকম রোগের কারণ হতে পারে। কলার মোচার নির্যাস
এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, ফলে শরীরে ক্যান্সার প্রতিহত করতে সাহায্য করে।
কলার মোচা প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার কে দূর করতে সাহায্য করে।
ভিটামিনের উৎস ঃ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ইত্যাদি
ভিটামিন এ ভরপুর কলার মোচা। সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কলার মোচা
রাখুন। তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করবে এবং সুস্থ থাকবেন।
কলার মোচার পুষ্টিগুণ
পুষ্টি উপাদান | পরিমান |
---|---|
প্রোটিন | ১.৭ গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ৩২ মিগ্রাম |
পটাশিয়াম | ১৮৫ মিগ্রাম |
ফসফরাস | ৪২ মিগ্রাম |
ভিটামিন এ | ২৭ মিগ্রাম |
ভিটামিন সি | ৪২০ মিগ্রাম |
ফ্যাট | ৩.৭ গ্রাম |
লোহ | ১.৬ মিগ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ৫.১ গ্রাম |
থায়ামিন | .০৫ মিগ্রাম |
আঁশ | ১.৩ গ্রাম |
বিরোফ্লোমিন | ০.২ মিগ্রাম |
কলার মোচার অপকারিতা
কলার মোচার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। পরিমাণ এর চাইতে
বেশি খেলে অবশ্যই উপকারের চাইতে ক্ষতি হবে। তাই যে কোন জিনিস পরিমাণ মতো খাবেন
উপকার পাবেন এটাই স্বাভাবিক। অতিরিক্ত পরিমাণ কলার মোচা খেলে কি কি ক্ষতি হয়
আজকে আমরা সেই সম্পর্কে জানবো। চলুন তাহলে কলার মোচার অপকারিতা সম্পর্কে একটু
জেনে নিই।
- কলার মোচাই অতিরিক্ত আয়রন থাকায় বেশি পরিমাণ খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- যাদের বাথরুমের সমস্যা রয়েছে তারা কলার মোচা কম খাবেন।
- কলার মোচা বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ তাই অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
- যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করার মত খাবেন কারণ কলার মোচাই রয়েছে ফেনোলিক এসিড যা এলার্জি রোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
কলার মোচা রান্নার রেসিপি
কলার মোচা অনেক সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর একটি তরকারি তা আমরা অনেকেই জানি। তবে
রান্নার রেসিপিটি হয়তো অনেকেই জানেন না, তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব কলার
মজা কিভাবে রান্না করবেন তার কার্যকারী পদ্ধতিগুলি। চলুন তাহলে রান্নার
রেসিপিটি জেনেনিই।
উপকরণ ঃ
- কলার মোচা ২টি
- রসুন বাটা-১ চা চামচ
- আদা বাটা - ১ চা চামচ
- পেঁয়াজ কুচি -১ কাপ
- মরিচ গুঁড়া - আধা চা চামচ
- হলুদ গুড়া - আধা চা চামচ
- জিরার গুড়া - আধা চা চামচ
- ধনে গুঁড়া - আধা চা চামচ
- লবণ - স্বাদ মতো
- সরিষার তেল - ৩ টেবিল চামচ
- শুকনা মরিচ - ২ টি
- দারুচিনি - কয়েক টুকরা
- এলাচ - ৩-৪ টি
- কাঁচামরিচ - ২-৩ টি
- তেজপাতা - ২ টি
প্রস্তুত প্রণালী ঃ
মজার উপরে বড় পাপড়ির মতো অংশ একটা একটা করে খুলে ভেতরে অনেকগুলো ফুল পাওয়া
যাবে। ফুল গুলোর ভিতর একটি লম্বা চিপস থাকে সেটি ফেলে দিয়ে, ফুলটি নিয়ে নিতে
হবে। এভাবে মজার উপরের পাপড়ির অংশ খুলতে খুলতে ভেতরে একদম নরম একটি অংশ পাওয়া
যাবে, সবগুলো এভাবে বেছে নেবার পরে, বটি দিয়ে খুব চিকন চিকন করে কেটে নিতে
হবে।
আরো পড়ুন ঃ সোনা পাতা কি ওজন কমায়
এরপর ভালো মতো ধুয়ে নিয়ে রান্নার পাতিলে অল্প পরিমান পানি
দিয়ে দিন, পানিটা ফুটে উঠলে হলুদ, মরিচের গুঁড়া, ধনিয়া , লবণ দিয়ে দিন,
এরপর ধুয়ে রাখা কলার মোচাগুলি দিয়ে দিন। এখন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৮ -১০ মিনিট
সিদ্ধ করুন। কলার মোচার সাথে চাইলে আপনি কাঁচা কলা বা কুচি কুচি করে আলু দিতে
পারেন। এরপর সিদ্ধ হয়ে গেলে রান্নার পাতিল থেকে ঢেলে তাতে থাকা পানিটুকু
ছেকে ফেলে দিন।
এরপর আবার একটি পাত্র বসান, এখন পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, রসুন, আদাবাটা, দারুচিনি, তেজপাতা, শুকা মরিচ, এলাচ এই উপকরণগুলি দিয়ে ভালোমতো ভেজে নিন। মসলাগুলো ভালো মতো ভাজা হয়ে গেলে, সিদ্ধ করা কলার মজা দিয়ে দিন। কলার মতোই থাকা পানি মরে যাওয়া পর্যন্ত লারতে থাকুন। এখন ভালোমতো ভাজা হয়ে গেলে জিরা গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন।
গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা
কলার মোচা এবং কাঁচা কলার তরকারি আমাদের অনেক পছন্দের একটি তরকারি। এই সবজিটি রান্না করলে খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি অনেক ভিটামিন আইরন পটাশিয়াম, আরো অনেক পুষ্টিগুনে ভরপুর। আর বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এই তরকারি গর্ভবতী মায়ের জন্য খুব উপকারী ও স্বাস্থ্যকর। আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে কলার মোচার ঊর্ধ্বে কিছু নেয়। যারা সন্তান ও মায়ের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে চিন্তিত, তারা বেশি বেশি করার মত তরকারি রান্না করে খাবেন। এটি মা ও বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিচে আপনাদের
সুবিধার্থে কিছু বর্ণনা প্রদত্ত হলো।
- কলার মোচায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ইত্যাদি যা পেটের বাচ্চার মস্তিষ্কের গঠন সুস্থ করতে সাহায্য করে।
- এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইরন যা বাচ্চার হার মজবুত করতে সাহায্য করে।
- শিশু ত্বক ও চুলের গঠন ঠিক রাখে এবং ত্বককে কোমল মসৃণ করতে সাহায্য করে।
- কলার মোচাই অনেক রকম ভিটামিন থাকার কারণে গর্ভবতী মায়ের গর্ভে থাকা বাচ্চার দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।
- বাচ্চা গর্ভে থাকা কালীন বেশি বেশি কলার মোচা খেলে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- কলার মোচাই থাকা ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম শিশুর দৈহিক গঠনে উন্নতি ঘটায়।
সুস্থ স্বাভাবিক শিশু জন্মদানের জন্য অবশ্যই গর্ভবতী মাকে বাচ্চা গর্ভে থাকাকালীন
কলার মোচা খেতে হবে। এতে গর্ভবতী মায়ের আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক এর ঘাটতি পূরণ
করে এবং সুস্থভাবে বাচ্চা প্রসবে সাহায্য করে। আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, আয়রন থাকলে নরমাল ডেলিভারিতে সমস্যা হবে না।
কলার মোচার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত প্রশ্ন
গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়া যাবে কি ?
গর্ভবতী নারীদের জন্য শিশু সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে কলার মোচা
খাওয়া যাবে। কলার মোচা অনেক স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। জামা ও শিশু উভয়ের
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কলার মোচায় কি এলার্জি আছে ?
যাদের শরীরে এলার্জি আছে তাদের কলা মজা সাবধানে খাওয়া উচিত। কারণ কলার
মোচায় থাকা ফেনোলিক এসিড এলার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।
কলার মোচা খেলে কি হয় ?
কলার মোচা উচ্চ ফাইবার ও আয়রন সমৃদ্ধ যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের সাহায্য করে
এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
কলার মোচায় কি কি ভিটামিন আছে ?
কলার মোচায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ইত্যাদি। এছাড়াও
পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লোহ,আঁশ উপাদান বিদ্যমান আছে।
কলার মোচা খেলে কি কি সমস্যা দূর হয় ?
কলার মোচা অনেক ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারে যেমন; ডায়াবেটিকস
নিয়ন্ত্রণ রাখে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, রক্তস্বল্পতা দূর করে, হিমোগ্লোবিন
মাত্রা বাড়ায়, রাতকানা রোগ সারাই, শরীরের গঠন ঠিক রাখে, আমাশার রোগ
সারাতে সাহায্য করে ইত্যাদি।
শেষ কথা ঃ কলার মোচার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
কলার মোচা আমাদের সবজি বাজারে প্রায়ই সারা বছরই পাওয়া যায়। শরীর সুস্থ
রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অবশ্যই আজ থেকে নিয়মিত কলার মোচা
খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। শরীরের দুর্বলতা কমাবে এবং আইরনের ঘাটতি পূরণ করতে
ভীষণ কার্যকারী কলার মোচা। দামে কম তাই এটা খাবার জন্য আপনাকে ব্যয়বহুল খরচ করতে
হবে না। আমার অনেক পছন্দের একটি সবজি, এটা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন
স্বাস্থ্যকর।
প্রিয় পাঠক আশা করি কলার মোচার ১৫ টি উপকারিতা অপকারিতা
সম্পর্কে এতক্ষণে জেনে গেছেন। তাহলে আর দেরি না করে পরিবারের সবাইকে কলার মত
খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন এবং আমার আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করুন। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মুন্নি ফিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url