২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে জানুন
আজকের আর্টিকেলে আমরা ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে এই বিষয় সম্পর্কে
জানবো।কেননা কোরবানির ঈদ অর্থাৎ পবিত্র ঈদুল আযহার সাথে মিশে আছে আমাদের ত্যাগের
মহিমা। যেটা আমাদের মত মুসলিমদের একটি আনন্দের দিনই নয়, বরং আল্লাহর
আনুগত্যের এক শ্রেষ্ঠ সময়।
তবে কোরবানির ঈদ নিয়ে আমাদের অনেকেরই আগে থেকে কিছু পরিকল্পনা থাকে। যার
জন্য পূর্বে থেকে আমাদের জানা উচিত ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে অনুষ্ঠিত
হবে। তাহলে চলুন কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ এবং এর কিছু তাৎপর্য এখন জেনে
নিই।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে
- ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে
- ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম
- কেন কোরবানির ঈদ আমাদের জন্য বিশেষ
- কোরবানির আসল উদ্দেশ্য কি
- কোরবানির জন্য ভালো পশু কিভাবে নির্বাচন করবো
- পশু কোরবানি করার দোয়া
- কোরবানির গোশত বণ্টনের সঠিক পদ্ধতি
- ঈদের দিনে করণীয় কিছু সুন্নতি আমল
- কোরবানির ঈদ নিয়ে জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
- সবশেষে আমাদের মন্তব্য
২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে
২০২৫ সালের কোরবানি ঈদ কত তারিখে এ সম্পর্কে জানুন। তবে এর আগে আমাদের এটা
জানতে হবে যে কোরবানির ঈদ আমাদের মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয়
উৎসব। আর এই উৎসবটি মূলত হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর এক বিশাল ত্যাগ
ও
আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের জন্য আমরা পালন করে থাকি। আমাদের বাংলাদেশে ২০২৫
সালের কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে ৭ জুন, অর্থাৎ শনিবারে। সে ক্ষেত্রে কোরবানি ঈদের খুব একটা বেশি সময় নেই।
তবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ঈদুল আযহার তারিখ মূলত চাঁদ দেখার
উপরে নির্ভর করে।
তবে পূর্বের হিসাব অনুযায়ী ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের ৭
তারিখ, শনিবারে হবে।তাই আমরা এই দিনেই কোরবানির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি।
ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম
কোরবানির ঈদে অর্থাৎ ঈদুল আযহার দিনে বিশেষ করে আমাদের প্রত্যেককে দুই রাকাত
নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু বছরে দুইবার (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা) এই
নামাজ পড়ার জন্য অনেকেরই এর নিয়ম মনে থাকে না। কেননা এই নামাজ
জামাতে পড়ার সাথে সাথে কিছু অতিরিক্ত তাকবীর দিতে হয়। তাই আমরা এখন জানব ঈদুল
আযহার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে।
ঈদুল আযহার নামাজ পূর্বে গোসলের কিংবা অজুর মাধ্যমে আমাদের শরীর পবিত্র
করে নিতে হবে।এরপরে শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করে আমরা মসজিদে যাওয়ার জন্য
প্রস্তুতি নেব। তবে আমরা যারা কোরবানি দেব তারা নামাজের পূর্বে
কোন কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকবো। এরপরে তাকবীর পড়তে পড়তে আমাদের
ঈদগাহ মাঠে রওনা দিতে হবে নামাজের জন্য।
আরো পড়ুনঃ আরবি মাসের কত তারিখ আজ ২০২৫
- ঈদের নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে শুরুতে আমাদেরকে নিয়ত করতে হবে। নিয়ত যে আরবিতেই করতে হবে এমনটি নয়। বরং আপনি বাংলায় এভাবে নিয়ত করতে পারেন, "আমি আল্লাহর নামে কিবলামুখী হয়ে দুই রাকাত ঈদের নামাজ ৬ তাকবীর এর সাথে এই ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।"
- এরপরে ইমামের সাথে তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলে বুকে হাত বাধতে হবে।
- বুকে হাত বাধার পরে আমাদের সানা পড়তে হবে।
- এরপরে ইমাম অতিরিক্ত তিন থাকবেরে দেবেন। আর প্রতিটা তাকবীরে আমাদের হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে এবং শেষ তাকবীরের পর আমাদের হাত বাঁধতে হবে।
- ইফতার করে ইমাম সূরা ফাতিহা এবং অন্যান্য সূরা পড়ে স্বাভাবিক নামাজের মতই রুকু সেজদা করবেন। আমাদেরও সাথে সাথে সেটাই করতে হবে।
- দ্বিতীয় রাকাতে শুরুতে ইমাম সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা পড়বেন। সূরা পড়া শেষ হয়ে গেলে ইমাম অতিরিক্ত তিনটা তাকবীর দেবেন। তাকবীর দেওয়া হয়ে গেলে এরপরে ইমাম রুকুতে যাবেন এবং সাথে সাথে আপনিও যাবেন।
- এরপরে অন্যান্য নামাজের মতোই স্বাভাবিকভাবে আমাদের রুকু, সেজদা ও আত্তাহিয়াতু পড়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
কেন কোরবানির ঈদ আমাদের জন্য বিশেষ
কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা আমাদের মতোই প্রত্যেকটি মুসলমানদের জন্য বিশেষ
একটি দিন। কেননা এই আনন্দের দিনের মধ্যে লুকিয়ে আছে
আত্মত্যাগ, আল্লাহর ভয় এবং আল্লাহর প্রতি শ্রেষ্ঠ
আনুগত্য। কুরবানীর ঈদ আমাদের জন্য কেন বিশেষ সে সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট
ভাবে আমরা জানবো।
- হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর আত্মত্যাগের স্মরণে কোরবানির ঈদ আমাদের জন্য বিশেষ।
- আল্লাহর প্রতি আমাদের আত্মত্যাগের এক পরীক্ষা হয় কোরবানির মাধ্যমে। তাই এটি আমাদের জন্য বিশেষ।
- কোরবানির মাধ্যমে আমরা তাকওয়া ও খালিস নিয়তের শিক্ষা পায়। যেটা আমাদের জন্য বিশেষ কিছু।
- কোরবানি ঈদের মাধ্যমে ধনী গরিবদের মাঝে একটি শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। সকলের মাঝে কোরবানির গোশত ভাগাভাগি করে দিয়ে এক সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয় বিধায় এ দিনটি আমাদের জন্য বিশেষ।
- আল্লাহর জন্য কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা সরাসরি শয়তানের বিরুদ্ধে জিহাদ করি। যার জন্য কোরবানির ঈদ আমাদের কাছে বিশেষ কিছু।
কোরবানির আসল উদ্দেশ্য কি
আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন জাগে কোরবানির আসল উদ্দেশ্য কি? যার জন্য
আমরা বিভিন্ন প্লাটফর্মে এসে সার্চ করে থাকি।আমরা ইতোমধ্যেই ২০২৫ সালের
কোরবানির ঈদ কত তারিখে এ সম্পর্কে জেনেছি। তাই এখন আমরা জানবো কোরবানির
আসল উদ্দেশ্য কি সেই সম্পর্কে।মুসলমানদের পক্ষ থেকে আল্লাহর জন্য কোরবানি
করার আসল
উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন। এর
পাশাপাশি আমাদের তাকওয়াব বৃদ্ধি ও আত্মত্যাগের শিক্ষা
পাওয়া। যেহেতু আল্লাহর হুকুমে প্রতিটি সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপরে
কুরবানী করা ফরজ সেহেতু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই মুসলমানরা কুরবানী
করে থাকেন। আর এ কোরবানির মাধ্যমে আমরা আমাদের তাকওয়ার প্রমাণ ও
এক বিশাল আত্মত্যাগের শিক্ষা পেয়ে থাকে।
কোরবানির জন্য ভালো পশু কিভাবে নির্বাচন করবো
আমরা যখন কোরবানির জন্য পশু নির্বাচন করব তখন অবশ্যই আমাদের কিছু
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেন সেই বিষয়গুলি ইসলামের বিধান
অনুযায়ী হয়। ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে এটা আমাদের যেমন
জানতে হবে ঠিক তেমনি কোরবানির পশু কিভাবে নির্বাচন করব সেটাও জানতে হবে।
চলুন জেনে নিই পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে
হবে।
- কোরবানির উপযুক্ত পশু আমাদেরকে নির্বাচন করতে হবে। যেমন গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়া।
- এ সকল প্রাণীগুলো যেন সঠিক বয়সের মধ্যে হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- প্রাণী ক্রয় করার সময় অবশ্যই ভালোভাবে দেখে নিতে হবে যে, সেই প্রাণীটি সবদিক থেকে সুস্থ আছে কিনা। যদি কোন দিক দিয়ে প্রাণীটি অসম্পূর্ণ থাকে তাহলে সেটা কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কোরবানি পশুর দাঁত দেখে বয়স নির্ধারণ করুন। যদি দুধের দাঁত পড়ে যায় তবে সেই পশু কিনতে পারেন।
- বেশি দুর্বল কিংবা রোগাক্রান্ত গরু কিনা থেকে বিরত থাকুন।
- অতিরিক্ত কম দামের পশু ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা এই পশুতে কোন রকমের সমস্যা থাকতে পারে।
- গরু অথবা উট কুরবানী দেওয়ার সময় সর্বোচ্চ সাতজন ভাগে দেওয়া যাবে। কিন্তু ভেড়া, ছাগল, দুম্বা ইত্যাদির ক্ষেত্রে কেবল একজনই কোরবানি দিতে পারবেন।
- কোরবানির পশু কেনা হয়ে গেলে সেটার যত্ন নিন।
পশু কোরবানি করার দোয়া
ঈদুল আযহার দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পশু কোরবানি করার জন্য
আমাদের একটি দোয়া পড়তে হয়। যে দোয়া পড়ার মাধ্যমেই আমরা পরশু
কোরবানি করতে পারি। যদিও প্রায় জায়গায় মসজিদের ইমাম সাহেব কোরবানি
করে দিয়ে থাকেন তবুও আমরা যদি নিজ থেকে কোরবানি করতে চাই তাহলে এই দোয়া
পড়ে করতে পারব। তবে চলুন কোরবানির দোয়া জেনে নিই।
কোরবানি করার সময় আপনি যখন পশুকে শুয়াবেন তখন এই দোয়া পড়তে
হবে, "আল্লাহুম্মা হাযা মিনকা ওয়া লাকা।" যার অর্থ হচ্ছে, হে আল্লাহ! এটি তোমার দেওয়া নিয়ামত এবং
তোমার সন্তুষ্টির জন্যই কোরবানি করছি।
যখন আপনি পশু জবাই করবেন তখন এই দোয়া পড়তে হবে, "বিসমিল্লাহি, আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল
মিন্নি।" এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর নামে জবাই করছি আল্লাহ
সর্বশ্রেষ্ঠ। হে আল্লাহ! আমার পক্ষ থেকে এই কোরবানি কবুল
করুন।
কোরবানির গোশত বণ্টনের সঠিক পদ্ধতি
আমাদের ইসলামে কোরবানির যে সমস্ত বিধানগুলো রয়েছে সে সব বিধানের মধ্যে গোস্ত
বন্টনের বিধানও রয়েছে। তাই সঠিক ভাবে যেমন আমাদের কোরবানি দিতে হবে ঠিক
তেমনি সঠিকভাবে এর গোশত বন্টন করতে হবে। কেননা ২০২৫ সালের কোরবানির
ঈদ কত তারিখে এটা জানার পাশাপাশি আমাদের গোস্ত বন্টনের সঠিক পদ্ধতিও
জানা গুরুত্বপূর্ণ। চলুন সে সম্পর্কে জানি।
কোরবানির গোশতকে তিন ভাগে ভাগ করতে হয় এটা আমরা সকলেই জানি। আর এই
তিনভাগ গোশতের মধ্যে এক ভাগ নিজের জন্য, একভাগ আত্মীয় স্বজনদের জন্য
এবং আরেকভাগ ফকির মিসকিনদের জন্য রাখতে হয়। এই তিনটা ভাগ এমনভাবে করতে
হবে যেন সব ভাগে সমান সমান থাকে।
- অর্থাৎ কোরবানির গোশত বন্টনের সময় নিরপেক্ষভাবে আত্মীয় ও গুরুত্বের মাঝে ভাগ করুন।
- গোস্তের খারাপ অংশ কিংবা অতিরিক চর্বি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং ভালো অংশ দিন।
- যদি পারেন গোস্ত লুকিয়ে দান করুন। কেননা কুরবানীর গোস্ত লুকিয়ে দান করো এবং ভালো সওয়াব পাওয়া যায়।
- যদি আপনি কসাই দিয়ে গোস্তের কারবার করে নেন তাহলে তাকে সে গোশত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। উপহার হিসেবে টাকা অথবা অন্য কিছু দিতে পারেন।
ঈদের দিনে করণীয় কিছু সুন্নতি আমল
পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে প্রতিটি মুসলমানদের জন্য করণীয় কিছু সুন্নতি আমল
আছে। আর এই বরকতম দিনে আনন্দ করার পাশাপাশি আমাদের এ সকল সুন্নতি আমলগুলো
করা উচিত। চলুন তাহলে সহজে জেনে নিই ঈদের দিনে আমাদের কি কি সুন্নতে
আমল করতে হবে।
- ঈদের দিনে ফজরের নামাজের পরে উচ্চস্বরে তাকবীর পড়া সুন্নত। তাই এটি আমাদের ফজরের নামাজের পরে পড়া উচিত। তাকবির টি হলো, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ও'য়া লিল্লাহিল হামদ।
- ঈদের নামাজের আগে গোসল করা সুন্নত। তাই আমাদের উচিত ঈদের নামাজে যাওয়ার পূর্বে গোসল করে নেওয়া। এর পাশাপাশি আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করতে হবে।
- ঈদের দিনে আমরা শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারি। তবে নারীদের ক্ষেত্রে সুগন্ধি ব্যবহার করে ঘরের বাইরে যাওয়া নিষেধ।
- আমরা যারা কোরবানি দেব তাদের জন্য ঈদের নামাজের পূর্বে কোন কিছু না খাওয়া সুন্নত। আমাদের জন্য একেবারে কোরবানির গোশত দিয়ে খাবার খাওয়া উত্তম হবে।
- এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ঈদগাহ থেকে আসা সুন্নত। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া এটাই করতেন।
- সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি ক্রয় করা এবং তা নিজের হাতে জবেহ করা সুন্নত। তাই আমাদের উচিত নিজের কোরবানি নিজে করা।
- ঈদের দিনে গরিবদের মাঝে দান করা উত্তম। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিনের দানকে উত্তম বলেছেন।
- ঈদের দিনে হালালভাবে আনন্দ করা, পরিবার এবং আত্মীয়দের সাথে ভালো সময় কাটানো সুন্নত। তাই ঈদের দিনে পরিবারের সাথে ভালো সময় আমরা কাটাতে পারি।
কোরবানির ঈদ নিয়ে জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
কোরবানি ঈদ নিয়ে আমাদের অনেকের মনে অনেক রকমের প্রশ্ন থেকে
থাকে। যেগুলো উত্তর আমরা এক কথায় পেতে চায়।তাই চলুন কোরবানির ঈদ নিয়ে
জিজ্ঞাসিত সেসব প্রশ্ন ও উত্তর এক কথায় জেনে নিই সঠিকভাবে।
প্রশ্নঃ ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ কবে?
উত্তরঃ ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ জুন মাসের ৭ তারিখ, শনিবারে
অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশ্নঃ কোরবানি ঈদের গুরুত্ব কি?
উত্তরঃ কোরবানি ঈদের গুরুত্ব হচ্ছে এটি তাকওয়া, আত্মত্যাগ এবং
আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের একটি প্রকাশ। যেটা আমাদের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ কোন বয়সের পশু কোরবানি দেওয়া যেতে পারে?
উত্তরঃ গরু বা মহিষের ক্ষেত্রে ২ বছর, ছাগল/ভেরা/দুম্বা এর
ক্ষেত্রে ১ বছর এবং উটের ক্ষেত্রে ৫ বছর বয়সী পশু কোরবানি দিতে
পারেন।
প্রশ্নঃ কোরবানির জন্য কোন পশু নেওয়া ভালো হবে?
উত্তরঃ একটি সুস্থ শক্তিশালী এবং বিভিন্ন রকমের ত্রুটিমুক্ত পশু
নেওয়া আপনার জন্য উত্তম হবে।
প্রশ্নঃ কোরবানি দেওয়ার সঠিক নিয়ম কি?
উত্তরঃ কোরবানি দেওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে, বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার বলে কিবলামুখী হয়ে কুরবানী দেওয়া।
প্রশ্নঃ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কি কোরবানি করতে পারব?
উত্তরঃ হ্যাঁ। মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকেও কোরবানি করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ কোরবানি দেওয়ার পূর্বেই যদি পশু মারা যায় তাহলে কি
করব?
উত্তরঃ কোরবানি করার পূর্বেই যদি আপনার পশু মারা যায় তাহলে আরেকটি
প্রশ্ন কেনে কোরবানি দিতে হবে।
প্রশ্নঃ কোরবানির পশু কি বিক্রয় করা যাবে?
উত্তরঃ না। কোরবানির পশু আমরা কোনভাবেই বিক্রয় করতে পারবো
না।
প্রশ্নঃ কতদিন পর্যন্ত কোরবানি দেওয়া যাবে?
উত্তরঃ আমরা ১০-১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্ত
পর্যন্ত কোরবানি দিতে পারব। তবে ১০ জিলহজ কোরবানি দেওয়ায় উত্তম
হবে।
সবশেষে আমাদের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ কত
তারিখে এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি আপনি জেনেছেন, ঈদুল
আযহার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে। এছাড়াও কোরবানির আসল উদ্দেশ্য কি এবং এর
গোস্ত কিভাবে বন্টন করবেন এ সকল বিষয় ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সম্পর্কে। যে বিষয়গুলো আপনার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে মনে
করি।
আজকের আর্টিকেল যদি আপনি ভালোভাবে পড়ে বুঝতে পারেন তাহলে কোরবানি
সম্পর্কে এ সমস্ত বিষয়গুলো জানা আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। আপনি যদি
নিয়মিত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো
করুন।এখানে আপনি এই ধরনের আর্টিকেল প্রতিনিয়ত পাবেন।
মুন্নি ফিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url