চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার ও নিম পাতার উপকারিতা
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার ও নিম পাতার উপকারিতা। নিম গাছ হলো একটি বহুবর্ষজীবী ওষধি গাছ, প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে এই নিমগাছ। এটি হাজার বছর ধরে বহু রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় ত্বকের সমস্যার জন্য নিমপাতা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
ত্বক কিংবা চুল উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যার সমাধানের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
অতুলনীয়। বিভিন্ন চুলকানি ব্রণ খোসপাচড়া ফোড়ার মত বিভিন্ন চর্ম রোগের জন্য নিম
পাতার ব্যবহার ভীষণ জনপ্রিয়।আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো চুলকানিতে নিম পাতা
কিভাবে ব্যবহার করা যায় ও নিম পাতার কার্যকারী কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্র ঃ চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার ও নিম পাতার উপকারিতা
- নিম পাতার গুনাগুন
- চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতার উপকারিতা
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
- চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতা ব্যবহারে সতর্কতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- শেষ কথা ঃ চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার ও নিম পাতার উপকারিতা
নিম পাতার গুনাগুন
নিম পাতা অত্যন্ত উপকারী একটি পাতা এটা আমরা সকলেই জানি। নিম পাতায়
রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান,
যাক ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ভীষণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ত্বকের
চুলকানি, ব্রণ, ঘা খসড়া ইত্যাদির মত চর্মরোগ সারাতে নিমপাতা খুবই
জনপ্রিয়।
এছাড়াও নিম পাতায় রয়েছে নিম্বোলিড ও নিম্বিন নামক শক্তিশালী উপাদান।
জাতকের প্রদাহ কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আপনি
যদি ত্বকের সমস্যাই ভোগে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিমপাতার ব্যবহার করে দেখতে
পারেন। ভালো উপকার পাওয়া যাবে আশা করা যায়। নিম গাছ বাড়ির আশেপাশেই
পাওয়া যায় যার কারণে আপনাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য বেগ পেতে হবে না।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
চুলকানির সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন, এলার্জি, ফাংগাল সংক্রমণ, ইনফেকশন,
অতিরিক্ত ঘাম, মশার কামড় কিংবা চুলকানি আছে এমন কারো সংস্পর্শে থাকলেও
চুলকানি হতে পারে। চুলকানি ভীষণ খারাপ একটি জিনিস, চুলকানিকে এক টাইপের ছোঁয়াচে
রোগ বলা যায়। এর সকল সমস্যার কার্যকরী একটি সমাধান হলো নিম পাতার ব্যবহার। আপনি
হয়তো ভাবছেন নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করবো? তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই চুলকানিতে
নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত।
আরো পড়ুন ঃ সোনা পাতা কি ওজন কমায়
নিম পাতার পানিতে গোসল
আপনি যদি অনেকদিন যাবত চুলকানিতে ভুগে থাকেন, আর আপনার শরীরের বিভিন্ন জায়গায়
যদি চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিম পাতার পানিতে গোসল করতে পারেন। তাহলে আপনার
পুরো শরীরের চুলকানি দূর হয়ে যাবে। চলুন এবার জেনে নিই কিভাবে নিম পাতার পানিতে
গোসল করতে হয় সেই সম্পর্কে।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ নিমপাতা দিয়ে গোসল করার জন্য নিম্নে আলোচিত উপাদান
গুলি প্রয়োজন হবে। যেমন;
- এক মুঠো নিম পাতা
- ২ লিটার পানি
প্রস্তুত প্রণালী ঃ ২ লিটার পানিতে এক মুঠো নিম পাতা এড করুন।
এবার ১০- ১৫ মিনিট চুলার তাপে ভালো মতো ফুটিয়ে নিন। পানি ভালোমতো ফুটে গেলে
পানির রং সবুজ আকৃতির হবে। ফুটন্ত পানিটা হালকা কুসুম গরম থাকা অবস্থায়
গোসলের পানির সাথে মিস করুন। এবার গোসল করে নিন, এটি নিয়মিত ৩-৪ দিন
ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাবেন।
নিম পাতার পেস্ট
আপনি যদি নিম পাতার পানিতে গোসল করতে পছন্দ না করেন তাহলে আপনি খুব সহজ একটি উপায়ে চুলকানি দূর করতে পারবেন। সহজ উপায়টি হলো নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করে আপনি চুলকানির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। এখন হয়তো ভাবছেন চুলকানিতে নিমপাতার পেস্ট কিভাবে ব্যবহার করবো। তাহলে চলুন আপনার সুবিধার্থে কিভাবে নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে একটু জেনে নিই।
প্রয়োজনীয় উপকরণ ঃ নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করার জন্য কিছু
প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রয়োজন। নিম্নে উপকরণ গুলি প্রদত্ত হলো।
- তাজা ১০-১৫ টি নিমপাতা
- সামান্য পরিমাণ পানি
প্রস্তুত প্রণালী ঃ তাজা ১০-১৫ টি নিমপাতা সংগ্রহ
করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার পাতাগুলি ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে
বিলিন্ডারে বা সিলপাটায় পিশে পেস্ট তৈরি করুন। অতঃপর যে স্থানে চুলকানি
হয়েছে এই পেস্টটি সেইসব স্থানে লাগিয়ে নিন। পেস্ট লাগানোর ২০ মিনিট
পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নিম তেলের ব্যবহার
আপনি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন। ত্বকের জন্য ও চুলের জন্য নিমের
তেল ভীষণ উপকারী একটি তেল। নিম তেল ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দূর হবে
পাশাপাশি চুলকানি, ঘা ঘসরা ভালো করতেও ব্যাপক কার্যকারী একটি উপাদান।
প্রয়োজনীয় উপকরণ ঃ নিম তেল তৈরি করার জন্য কিছু উপকরণ এর প্রয়োজন হবে, নিম্নে প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি বর্ণনা করা হলো
- ৩-৪ ফোটা নিম তেল
- এক চা চামচ নারিকেল তেল
প্রস্তুত প্রণালী ঃ ৩-৪ ফোটা বিশুদ্ধ নিম তেল, ১ চা চামচ
নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার চুলকানি স্থানে আলতো করে লাগিয়ে নিন। এই
উপকরণটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের সমস্যা ও চুলকানির সমস্যা দ্রুত সেরে যাবে।
নিম পাতা ও হলুদের পেস্ট
চুলকানি, ঘা ঘসরা, ব্রণ ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য নিমপাতা ও হলুদের পেস্ট
ভীষণ কার্যকারী একটি উপাদান। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে এই দুইটি
উপকরণ ব্যবহার করলে। তাহলে চলুন কিভাবে নিমপাতা ও হলুদের পেস্ট ব্যবহার
করবেন সেই সম্পর্কে একটু জেনে নিন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ ঃ নিম পাতা ও হলুদের পেস্ট তৈরি করার জন্য কিছু উপকরণ প্রয়োজন, নিম্নে উপকরণসমূহ প্রদত্ত হলো।
- ৮-১০ টি নিমপাতা
- এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো (কাঁচা হলুদ হলে বেশি ভালো হয়)
- সামান্য পরিমাণ পানি
প্রস্তুত প্রণালী ঃ নিম পাতা গুলি ভালোভাবে ধুয়ে বেটে
পেস্ট তৈরি করুন। এবার নিম পাতার পেস্ট এর সাথে হলুদ গুঁড়ো
মিশিয়ে নিন। সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে ভালোভাবে একটি প্যাক তৈরি করুন। এবার
আক্লান্ত স্থানে লাগান,২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের
এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।
নিম পাতার উপকারিতা
নিম পাতা শুধু চুলকানিতেই নয়, এটি আরো অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায় কার্যকর ভূমিকা
পালন করে। নিম পাতা অনেক উপকারী একটি পাতা তা সকলেরই জানা। তাহলে চলুন নিম
পাতা থেকে কি কি উপকার পাই সেই সম্পর্কে একটু জেনে নিই।
আরো পড়ুন ঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার ১০টি কার্যকারী উপায়
ব্রণ ও মেসতা দূর করে ঃ মুখের যে কোন সমস্যা যেমন ব্রণ, মেছতা,
ফোঁড়া ইত্যাদি সমস্যা আমাদের প্রায় সকলের মুখে প্রায় সময় দেখা যায়। আর
নিম পাতায় রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা মুখের ব্রণ, ফোড়া ও মেস্তা
দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত নিম পাতার পেস্ট মুখে লাগালে ব্রণ উঠা কমে
যাবে।
ফুসকুড়ি নিরাময়ে ঃ অনেকের মুখে প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের
ফুসকুড়ি উঠে। অনেক ওষুধ খাওয়ার পরও বা অনেক ফেসওয়াশ ব্যবহার করার পরেও যায়
না। এই ফুসকুড়ি দূর করার প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় হলো নিম পাতার পেস্ট
ব্যবহার করা। নিয়মিত নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করে দেখুন আপনার মুখের ফুসকুড়ি
দূর হয়ে যাবে।
রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে ঃ নিম পাতা খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়, শরীরের অভ্যন্তরীণ টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও দাগ মুক্ত করে। রক্ত পরিশোধনের জন্য নিম পাতা ভিশন কার্যকারী একটি উপাদান চাইলে আপনি এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
ক্ষত ও ঘায়ের দ্রুত নিরাময় ঃ অনেকে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতচিহ্ন লক্ষ্য করা যায়। এই ক্ষতচিহ্ন সারাতে সবচেয়ে কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান হলো নিম পাতা। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ক্ষত ও ঘায়ের বিভিন্ন ধরনের দাগ দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে এই পাতা।
খুশকি দূর করতে সাহায্য করে ঃ শুধু ত্বকের যত্নে নিম
পাতা গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং মাথার ত্বকের জন্য নিম পাতা ভিশন গুরুত্বপূর্ণ। নিম
পাতার রস বা নিমপাতা তেল মাথার ত্বকে মেসেজ করে ভালোভাবে লাগান। ১ ঘন্টা
পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং খুশকি দূর
করবে।
একজিমা ও খোশ পাঁচড়ার চিকিৎসায় ঃ নিম পাতা চর্ম রোগের জন্য
খুবই উপকারী। নিম পাতা তেল বা পেস্ট ব্যবহার করলে একজিমা ও খোঁস পাচড়ার মত
সমস্যার সমাধান দিতে পারে। একজিমা বা ঘা, পাচড়ার জন্য নিম পাতা ভীষণ
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিমপাতার দ্বারা যে উপকার পাওয়া যায় হয়তো অনেক
ওষুধের সেই উপকার পাওয়া যায় না।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিম পাতা অন্যতম একটি কার্যকরী উপাদান। তৈলাক্ত ত্বকের
জন্য এই পাতার অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো অতিরিক্ত সিরাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে
সাহায্য করে, যার ফলে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হয় এবং ত্বকের ছিদ্র
বন্ধ হয়ে ব্রণ উঠা কমায়। নিম পাতায় ট্রাইগ্লিসারাইড, লিমোনয়েড এবং
অন্যান্য সক্রিয় যোগ রয়েছে যা অতিরিক্ত সিরাম উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে।
সিরাম উৎপাদন কমানোর পাশাপাশি, নিম পাতা তৈলাক্ত, ব্রণ-প্রবণ ত্বকে
ভবিষ্যতে ব্রণ দেখা দেওয়ার রোধ করতেও ভীষণ সাহায্য করে। নিম পাতায়
নিম্বিডিন ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যোগ রয়েছে যা
প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়াম একনেস এবং
স্টাফিলোকক্কাস এপিডার্মিডিসের মতো ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার
বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। যার ফলে, নিম পাতা ব্যবহারে খুব সহজেই ত্বকের তলাক্ত
দূর হয়, এবং ত্বক উজ্জ্বল ও দাগ হীন রাখতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার
চুল আমাদের সকলেরই ভীষণ প্রিয়। চুল পড়া সমস্যা নিয়ে ভোগেনি এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর। তাদের ছেলে হোক আর মেয়ে উভয়েই চুল পড়া সমস্যা নিয়ে ভুগে থাকে। আপনার চুল পড়া সমস্যার সমাধান দিতে পারে একমাত্র নিম পাতা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, কমপক্ষে সপ্তাহে একদিন নিম পাতার পেস্ট চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত ভালোভাবে লাগান। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি নিয়মিত এই কাজটি করতে পারেন তাহলে আপনার চুল পড়া রোধ করবে।
নিম পাতা শুধু চুল পড়া রোধ করে না বরং মাথার খুশকি দূর করে, চুলের গোড়া
মজবুত ও চুলকে লম্বা করতেও সাহায্য করে। শুধু তাই নয় মেয়েদের মাথায় যে উকুন
থাকে সে উকুন মারতেও ভীষণ সাহায্য করে এই পাতা। এই পাতা কে আপনি মেহেদি পাতা,
কালো কেশি, জবা ফুল, এলোভেরা, মেথি ইত্যাদির সাথে পেস্ট বানিয়ে চুলের
ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনাকে ভালো ফলাফল দিবে।
নিম পাতা ব্যবহারে সতর্কতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
যদিও নিম পাতা খুবই উপকারী একটি পাতা, তবুও অতিরিক্ত ব্যবহারে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। নিমপাতা সব ত্বকের জন্য উপযোগী বা উপকারী নয়। তাহলে চলুন কাদের জন্য নিমপাতা ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে সে সম্পর্কে একটু জেনে নিই।
- গর্ভবতী মহিলাদের নিমপাতা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- সংবেদনশীল তোকে অতিরিক্ত নিম পাতা ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা লালচে ভাব দেখা দিতে পারে। যাদের ত্বক ভীষণ কোমল তাদের নিমপাতা এড়িয়ে চলা উচিত।
- নিম তেল সরাসরি ব্যবহার করলে কিছু ক্ষেত্রে ত্বকে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, এই তেল ব্যবহার করার আগে পাতলা করে নেওয়া ভালো।
- নিম তেল প্রচুর ঠান্ডা। যাদের ঠান্ডা বা এজমার সমস্যা রয়েছে তারা নিম তেল মাথায় ব্যবহার করবেন না।
- যাদের ত্বকের নিম পাতার পেস্ট এডজাস্ট করে না তারা এটি এড়িয়ে চলুন।
- এলার্জি, ত্বকে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য নিমপাতা ব্যবহার না করাই ভালো। নিমপাতা ব্যবহারে ত্বকের এলার্জি বেড়ে যেতে পারে।
শেষ কথা ঃ চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার ও নিম পাতার উপকারিতা
নিমপাতা প্রকৃতির এক বিস্ময়কর উপহার, যা বহুবিধ উপকারিতা প্রদান করে থাকে। বিশেষ
করে চুলকানি ও ত্বকের সমস্যার ক্ষেত্রে নিমের ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর। নিমপাতা
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়ায় এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও খুব কম। আবার এটি কেনার
জন্য আপনাকে অর্থ ব্যয় করতে হবে না। তাই নিয়মিত ও সঠিকভাবে নিমপাতা ব্যবহার করে
আপনি ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে পারেন।
প্রিয় পাঠক আশা করি জানতে পেরেছেন কিভাবে চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার করতে হয় ও নিম পাতার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়ার জন্য নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এত সময় দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মুন্নি ফিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url